পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ করতে গিয়ে এলাকাবাসির ধাওয়া খেয়ে(শার্ট,লুঙ্গি,মোবাইল,দোকানের চাবির গোছা,পায়ের জুতা,গলার চেন,টর্চ লাইট)রেখে পালিয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতার ভাতিজা মোঃ মকবুল হোসেন(৩৫)। এবিষয়ে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই,ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক (জুয়ারু ও সুদে ব্যবসায়ি) মোঃ খোকন মিয়া ও একই ওয়াডের্র মেম্বর মোঃ হারুন আর রশিদ অর্থের লোভে গোপন সালিষের মাধ্যমে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদ কর্মী ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ওই আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোকন মিয়া সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে নিষেধ/বাধা দেন এবং বলেন আমাদের এলাকায় কোন সাংবাদিক আসলে আমাদের অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। এবং খুব দ্রুত এলাকা ছাড়তে বলেন নয়লে মার পিটসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আরো বলেন কোন নিউজ প্রকাশ হলে পরে সংবাদ কর্মীদের দেখে নেওয়া হবে।
এলাকাবাসি জানায়, উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পার-ভাঙ্গুড়া গ্রামের মজিবরের ছেলে মকবুল হোসেনের সাথে টলটলিয়া পাড়া গ্রামের উদ্দীনের স্ত্রীর অবৈধ্য সম্পর্ক থাকায় শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উদ্দীনের স্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে এলাকা বাসি মকবুলকে উলঙ্গ অবস্থায় আটক করলে এ সময় মকবুল সবাইকে ধাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি ঘটনা স্থল থেকে মকবুলের শার্ট,লুঙ্গি,মোবাইল,দোকানের চাবির গোছা,পায়ের জুতা,গলার রুপার চেন,টর্চ লাইট উদ্ধার করে গ্রাম প্রধান নজরুলের হেফাযতে রেখে দেন। ঐ রাতেই মেয়ের পরিবার থানায় মামলা করতে চাইলে ওয়ার্ড সভাপতি ও মেম্বর মামলা করতে নিষেধ করেন এবং বলে আমরা বিষয়টা মিমাংসা করে দিব। হুমকি দিয়ে বলেন যদি থানায় যাও তাহলে তোমাদের বিপক্ষ্যে আমরা সাক্ষ্য দেব। ভয়ে মেয়ের পরিবার চেপে যেতে বাদ্য হয়। এর পর থেকেই অর্থ লোভী নেতারা ও ইউপি সদস্য হারুন আর রশিদ গোপনে আপস করার চেষ্টা করছে । উল্লেখ এদের বিরুদ্ধে পূবে বাল্যবিবাহ ও অনৈতিক দরবার শালিসসহ জুয়া পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পার-ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়তুল্লাহ হক বলেন,নারী ঘটিত কোন বিষয় এলাকার নেতা ও ইউপি সদস্যদের শালিষ করার একতিয়ার নাই। যদি করে থাকে তাহলে আইন অনুযায়ি এরকম অর্থ লোভিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন বলেন, এরকম দুস্কৃতি ওয়ার্ড নেতার বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাইনা।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, সংবাদ সংগ্রহে বাধা ও সাংবাদিকদের হুমকি বিষয়টা খুবি দু:খ জনক। বিষয়ে এখনো কেহ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#CBALO/আপন ইসলাম