সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় স্বামীকে পরকীয়ায় বাধা ও যৌতুকের দাবী মেটাতে না পারায় পাষন্ড স্বামী ও পরিবারের লোকেরা গৃহবধুকে অমানসিক নির্যাতন,মারপিট সহ হত্যার চেষ্টা করায় ৯৯৯ নম্বরে কল করায় পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে,বৃহ:বার বিকেলে সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের মন্ডলবাড়ি।সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,এরান্দহের মৃত জাবেদ মন্ডলের ছেলে,স্কুল শিক্ষক ইমরান আল কায়েস পার্শ্ববর্তী গ্রামপাঙ্গাসীর মৃত হায়দার আলীর মেয়ে শাপলা খাতুন (৩১) কে ১৪-১৫ বছর পুর্বে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে। বর্তমানে তাদের ঘরে ২ টি কন্যা সন্তানও রয়েছে। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করা অবস্থায় অন্য এক স্কুল শিক্ষিকার সাথে পরকীয়া জড়িত জেনে বাধা দিলে স্ত্রী শাপলাকে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন অজুহাতে মারপিট সহ বাবার বাড়ি হতে যৌতুকের টাকা আনকে বলে। যৌতুক না দিলে স্ত্রী শাপলাকে তালাক দিয়ে পুণরায় আরেকটি বিয়ে করবে বলেও হুমকীও দিয়ে বেড়ায়। মৃত বাবার সংসার হতে কয়েকবার টাকা এনে যৌতুকের দাবী মেটায়। আবাও স্বামী কায়েস বাবার বাড়ি হতে ৫ লাখ টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা আনতে অস্বীকার করায় বৃহ:বার বিকেলে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের অন্যান্যরা বেদম মারপিট সহ হত্যার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায় ৯৯৯ নম্বরে কল করায় সলঙ্গা থানা পুলিশ গৃহবধুকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,গৃহিনীর দায়েরকৃত মামলা থানায় রেকর্ড হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
#CBALO/আপন ইসলাম