শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আত্রাইয়ে মরিচ চাষে লাভবান কৃষক

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

নওগাঁর আত্রাইয়ে ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর চরাঞ্চলে পলি ও বেলে-দোঁআশ মাটির উর্বর জমিতে এবার রেকর্ড পরিমানে মরিচের আবাদ হয়েছে। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে মরিচের সবুজের সমারোহের এ মনকাড়া দৃশ্য বিমোহিত করে সকলকে। ভালো ফলনও বেশি দাম পেয়ে বেজায় খুশি এ উপজেলার মরিচ চাষিরা। গত মৌসুমে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেও এ ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নব উদ্যমে আত্রাই উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মরিচ চাষিরা তাদের জমিতে মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীসহ অন্যান্য নদীর অববাহিকায় দেখা গেছে মরিচ চাষের দৃশ্য। সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে মরিচের দৃষ্টিনন্দন এ দৃশ্য। মরিচ ক্ষেতে কৃষকের ছোঁয়ায় আর সঠিক পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ সবল। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মরিচের বাহার। এ দৃশ্য দেখে কৃষকের মন ভরে উঠেছে। অল্প করচে বেশি লাভের আশায় মরিচ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দুপুর গড়াতেই মরিচ তুলে হাটে নিয়ে যাওযার প্রস্তুতি নেন কৃষকেরা। অনেকে আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে কিংবা জমিতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। জমিতে পাইকারি বিক্রি করলে লাভ কম হয় বলেও জানান চাষিরা। আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হওয়ায় এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো নেই। সময়মতো বাজারে পণ্য নিয়ে যাওয়া আসায় কঠিন হয়ে দাড়াই এবং পরিবহন খরচও বেশি। তাই নায্যমূল্যে থেকে বঞ্চিত হয় মরিচ চাষিরা। উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামের মরিচ চাষি মো. খোরশেদ বলেন, আত্রাই নদীর তীরে আমি ১০ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। এতে আমার ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা। তবে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। প্রথম দিকে ৩৫ শত টাকা মণ দরে মরিচ বিক্রি করলেও এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ মরিচ ১৫ শত থেকে ১৬ শত টাকায়। তবে মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত আরোও প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন বলেও আশা করছেন তিনি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিজেন্দ্রনাথ বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মরিচ চাষে কীভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হন সেই দিকটা লক্ষ্য রেখেই আমরা অফিসিয়ালভাবে কৃষকদেরকে সু-পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।