ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ৫নং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তারবাগান গ্রামের বিধবা ফিরোজা (৫৫) বলেছেন সবার কপালে সুখ সয়না। কারণ আমাদের গ্রামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের নামে বিনামূল্যে জমি দিয়ে পাকা বাড়ী তৈরী করে দিচ্ছেন। এতে আমার স্বামীরও নাম রয়েছে। গত ৩০শে মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম আমাদের গ্রামে গিয়ে ৬০ জন ভূমিহীন মানুষকে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এতে আমি ও একটি বাড়ীর চাবি পেয়েছি। কিন্তু গরীবের কপালে সুখ যে সয়না তার কারণ হলো, গত ২৬শে মার্চ শুক্রবার আমার স্বামী আর্থিক সংকটে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। অনেক আশা নিয়ে বুকে স্বপ্ন বেঁধেছিলাম স্বামী, সন্তান নিয়ে সরকারের দেওয়া বাড়ীতে দু’বেলা পেট পুরে না খেতে পারলেও রাতে মনের শান্তিতে ঘুমাতে পারব। কিন্তু কপালে সুখ সয়লনা। বাড়ী পেলাম ঠিকই কিন্তু আমার সংসারের আয়- রোজ গারের আর কেউ রইলনা। আমি এখন আমার সংসার চালাবো কিভাবে। এক ছেলে ফিরোজ ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে বাবার সাথে দিন মজুরের কাজ করত। মেয়ে সুইটি ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। কোন আয় রোজগার নেই কিভাবে সুইটির পড়ালেখার খরচ চালাবো। মেয়ে সুইটি বলেন, আমি এখন ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারতাম। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ায় আমরা এতিম হয়ে গেলাম। এখন আমাদের দেখার মতো নেই। পড়ালেখার কী হবে তা জানি না। বাবা দিনমজুরী করে আমাদের সংসার চালাতো। এখন আমাদের কে দেখবে এ নিয়ে মা সহ আমরা সবাই বিপদে পড়েছি। সরকার যদি আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করত তাহলে আমি-আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারতাম এবং সংসারের সহায় হতো। এতো দুঃখ কষ্টের মধ্যেও আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জমি ও বাড়ী পেয়ে অনেক খুশি। ঝড়-বৃষ্টিতে আর কষ্ট করতে হবে না। একটু সুখেই থাকতে পারব। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং আমরা আগামীতে তাঁকেই ভোট দিব। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, হরিপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভূমিহীনদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৯৩৬টি বাড়ী নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে এবং এ প্রকল্পের কাজ অব্যহত রয়েছে।
#CBALO/আপন ইসলাম