শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শেরপুরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে বদলী করা হলেও থেমে নেই দূর্নীতি

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৩ জুন, ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধি:
অনিয়ম দূর্নীতির দায়ে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর সরকারি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে বদলী করা হলেও গুদামের ভেতরে অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির ট্রাকভর্তি চাউল রাতের আধারে অজানার উদ্দেশ্যে যাবার পথে জনতার হাতে আটক হলেও গোপনে সমঝোতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত খবরে জানাযায়, গত মাসের প্রথম সপ্তাহে ভোর রাতে মির্জাপুর ২নং সরকারি খাদ্য গুদামের ভেতরে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচি প্রায় ১০টন চাল ক্রাসিং এর সাথে বস্তা বদলের সময় ওই ঘটনা প্রকাশ হয়। এ খবরের পর সেখানকার খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মুকুল টুডুকে মির্জাপুর থেকে শাস্তিমূলক রাজশাহীতে বদলী করা হয়।
রাতারাতি ঐ ঘটনার সাথে সংপৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠলেও ৫ জন দারোয়ানের মাঝে ‘শ‘ অধ্যক্ষরের নামের একজন দারোয়ানকে অজ্ঞাত কারণে বদলী করা হয়নি। এনিয়ে নানা রকম গুঞ্জন উঠেছে সরকারি খাদ্য গুদামের ভেতরে।অপরদিকে একই ধরনের ঘটনায় ২৪ মে শেরপুরের তা–শ নাম সহ ৩ জন খাদ্যবান্ধব ডিলার প্রায় ১৫ টন চাউল সুবিধা ভোগীদের নিকট থেকে নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করে ডিও হওয়ার পরেও ডেলিভারী না নিয়ে প্রায় একসপ্তাহ পরে চাউল গুলো কালো বাজারে জনৈক আমজাদ হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর ট্রাক বোঝাই দিয়ে ধুনটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রাতের আধাঁরে। এ সময় স্থানীয় জনতা ওই ট্রাক ভর্তি চাউল আটক করলে মির্জাপুরের চিহ্নিত ওই দারোয়ান সহ শেরপুরের ৪/৫ জন মিলে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লেনদেনে নয়-ছয় করে বিষয়টি ধাঁমাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত কালোবাজারী আমজাদ হোসেন বগুড়ার গাবতলীতে একই ধরনের চাউল নিয়ে অনিয়ম করে ধরাপড়ার কারণে বর্তমানে জেলহাজতে আটক আছেন।

মির্জাপুর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী জানান, আমি গত ১৮ মে নওগাঁ জেলা থেকেশেরপুরে এসে মির্জাপুর খাদ্য গুদামের দায়িত্ব নিয়েছি। আমার যোগদানের পর কোন মালামাল কাগজ-কলমে ডেলিভারী হয় নাই। যার ফলে এধরনের ঘটনা আমার জানা নাই। একই সুরে অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ওই দারোয়ান। যিনি নিজেকে দরোয়ানের পরিবর্তে খাদ্য গুদামের ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।

শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেকেন্দার মো. রবিউল ইসলাম জানান, মির্জাপুর খাদ্য গুদামের ভেতরে সরকারি মজুদ ঠিক আছে। সেখানে কোন প্রকার অনিয়ম হয়ে থাকলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রয়ক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের সরকারি খাদ্য গুদামে কোন প্রকার অনিয়ম হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।