সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মহেশখালীর পানিরছড়ায় প্রবাসীর জমি জবরদখলের চেষ্টায় সন্ত্রাসীরা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

মহেশখালীর হোয়ানক পানিরছড়া এলাকায় পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় প্রবাসী হাফেজ নুরুল আমিনের মালিকানাধীন জমি জবরদখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে একই এলাকার দালাল শাহাদাত কবির ওরফে কালা বাচ্ছু ও কাইছার নামক দুই ভূমিদস্যু।

জানা যায়, স্থানীয় প্রবাসী হাফেজ নুরুল আমিনের ১৯৮৪ সালে ক্রয়কৃত মালিকানাধীন বসত-ভিটার এক খন্ড জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তা নিয়ে আদালত গত ২২ই ফেব্রুয়ারী নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী কায়দায় তাণ্ডব চালিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে তারা। এসময়  বাড়িঘর ভাংচুর ও ভিটায় থাকা গাছ কেটে ফেলে।  বাঁধা দিতে চাইলে সন্ত্রাসীরা জমির মালিক নুরুল আমিনের ছেলে কুতুব উদ্দিন, স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, পুত্রবধু কামরুন্নাহার, মুর্শিদাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহতদেরকে দ্রুত মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এঘটনায় জমির মালিক প্রবাসী হাফেজ নুরুল আমিন বাদি হয়ে মোঃ মাহবুব আলম (৪৫) ও মোঃ ছাদেককে (২০)  প্রধান আসামী করে আরো ৭জনসহ অজ্ঞাত ৫জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এছাড়াও পহেলা মার্চ একইভাবে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে টং এর বাসা নির্মাণ করে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে নির্মিত টংয়ে রাত্রে মদ, জুয়ার আসর ও নারী-পুরুষের অসামাজিক কার্যকলাপের আতুড়ঘরে পরিনত হচ্ছে প্রতিদিন।

এদিকে গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ই মার্চ) মহেশখালী সার্কেল এএসপি জাহেদুল ইসলাম ঘটনার তদন্তে গেলে সন্ত্রাসীরা এলাকা ছাড়া হয়ে যায়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনার সত্যতা জানতে ঘটনাস্থলে গেলে আসামী ছৈয়দ হোসেন ওরফে ড্রাইভার সৈয়দ হোছন নামে এক সন্ত্রাসী ও তার বড় বোন  সোনা খাতুন সাংবাদিকদের সাথে মারমুখী হয়ে অপ্রত্যাশিত আচরণ করে। একই দিন পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে প্রবাসী নুরুল আমিনের ছেলে কুতুব উদ্দিনের উপর ফের হত্যা চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা এবং নুরুল আমিনের ছেলে ইসলামি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তফা ছাদেক আরমানকে গতিরোধ করে চাঁদা দাবী করে এবং গুম করার চেষ্টা চালায়। পরে সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা করে।

অন্যদিকে স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মহেশখালী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ঘুষ লেনদেনে স্থানীয় সন্ত্রাসী সৈয়দ হোসেন ড্রাইভার সরাসরি যোগসাজশ ছিলো বলে জানা যায়। বর্তমানে সৈয়দ হোসেনসহ প্রধান আসামি এখনো পলাতক রয়েছে। এই সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হওয়ায় এখনো পরিবারটি তাদের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। এনিয়ে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরণের সংঘাতের আশংকাও করছেন স্থানীয়রা।

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।