বৃহস্পতিবার , ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের নীতিমালা শিথিল

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১
বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের নীতিমালা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের চাপ কমাতে প্রতি তিন মাস অন্তর এসব ঋণ পরিশোধ করতে হতো; কিন্তু এখন পরিশোধ করতে হবে ঋণের মেয়াদপূর্তিতে। এ নির্দেশনা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এতে একসাথে ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে চাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ভিত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, শুধু স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণই দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নেয়ায় এক দিকে যেমন সুদে-আসলে মেয়াদ শেষে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ বেড়ে যায়, অপর দিকে স্থানীয় ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্য বেড়ে যায়। এমনি পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণের রাশ টেনে ধরতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নীতিমালা কঠোর করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল, তিন মাস অন্তর ঋণ পরিশোধের নির্দেশনা। অর্থাৎ যে পরিমাণ ঋণ নেয়া হবে তা তিন মাস অন্তর পরিশোধ করতে হবে। প্রতি তিন মাস অন্তর বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ পরিশোধ করলে বৈদেশিক মুদ্রার চাপ যেমন কমে যাবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রার দায়ও কমে যাবে।
 বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারছিলেন না। অনেকের বিরুদ্ধেই স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ করে তা বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করে ঋণ পরিশোধ করার অভিযোগ ওঠে। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়ার জন্য তিন মাস অন্তর ঋণ পরিশোধের শর্ত রহিত করা হয়। প্রথমে এ নির্দেশনা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে দায় পরিশোধের আগের নির্দেশনা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
সার্কুলারে বলা হয়, সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় গত সেপ্টেম্বরে স্থাপিত ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের দায় পরিশোধের জন্য রফতানি উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ১৮০ দিন সময়ের জন্য পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা আগামী ৩১ মার্চের পরিবর্তে ৩০ জুন পর্যন্তÍ বর্ধিত করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল করা রফতানি বাণিজিক লেনদেনের নীতি সহায়তার সময়সীমা আগামী জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সাথে নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে রফতানি মূল্য প্রত্যাবাসন সময় ২১০ দিন পর্যন্ত রাখা হয়েছে। প্রযোজ্য সুদ হারে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের সময়সীমা অতিরিক্ত ১৮০ দিন বৃদ্ধি করার সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণের অতিরিক্ত সময় ৯০ দিনের পরিবর্তে ১৮০ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে। এ ছাড়াও সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় স্থাপিত ব্যাক টু ব্যাক।

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।