সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার প্রায় ৪০টি কিন্ডার গার্টেন এখন অস্তিত্ব সংকটে । কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলো করোনাভাইরাসের এ সময়ে প্রতিষ্ঠান ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হওয়ায় করোনাকালে ভাড়া দিতে না পেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক কিন্ডার গার্টেন স্কুল । শি¶কদের বেতন, বাসা ভাড়ায় স্কুলের মাসিক খরচ প্রায় ৭০ হাজার টাকা। মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় অভিভাবকদের কাছ থেকে টিউশন ফি চাহিদা মাফিক না পেয়ে মাসের পর মাস লোকসান গুনছেন স্কুলের মালিকেরা । সরেজমিনে বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ স্কুলের মাঠ ও ক্লাস রুমের বেহাল দশা । পরে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায় । কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের দরজা জানালা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার প্রাণীর যাতায়াত এবং ক্লাস রুমে তাদের বসবাস । স্কুলের মাঠে কেউ রেখেছে খড় আবার কেউ রেখেছে গরুর গোবর। তাছারা সকল শিক্ষার্থীদের অবস্থা আরও খারাপ । তারা তাদের স্কুল খোলা না পেয়ে ছুটে চলেছে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও অন্যন্য প্রতিষ্ঠানে ।
কামারখন্দের কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের তথ্য মতে, কামারখন্দে ২০২০সালে স্কুল ছিল ৪০টি, নিবন্ধিত স্কুলের সংখ্যা ২২টি, মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৪৭৫জন, কর্মচারির সংখ্যা ১০০জন এবং মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭হাজার । কিন্তু করোনা মহামারি আসার কারণে বর্তমানে চালু করার উপোযোগি ৩০টি কিন্ডার গার্টেন । শিক্ষক/শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী সংকটেও থাকতে হবে এসব প্রতিষ্ঠানের। পূর্বে যে সব শিক্ষক/শিক্ষিকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিল তার অধিকাংশই দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে বিভিন্ন কর্মের সাথে যুক্ত হওয়ায় ফিরতে পারবে না স্বস্ব প্রতিষ্ঠানে । কামারখন্দ কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম লিটন জানান, বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুত বিল দেওয়াটাই এখন কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে । তাছারা স্কুল খোলার পর শিক্ষক/শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী কি পরিমান থাকবে তা নিয়েও রয়েছে সংসয় । সব মিলিয়ে আমরা খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি । এখন সরকার যদি আমাদের সামান্য প্রনোদনার ব্যবস্থা না করে তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পূনরায় চালু করা অসম্ভব হয়ে পরবে ।
CBALO/আপন ইসলাম