শুক্রবার , ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মধুপুরে হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১
আধুনিকতার সংস্পর্শে এসে এবং কালের বিবর্তনে টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়িয়া অঞ্চলেও হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর।
গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর। এক সময় মাটির ঘর ছিল গ্রামের মানুষের কাছে “গরীবের এসি বাড়ি” নামে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির বাড়ি। আধুনিকতার ছোয়ায় এবং সময়ের পরিবর্তনে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরী বাড়ি প্রায় বিলুপ্তের পথে।
আজকে যেই জিনিসটি পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করছে, কাল তার স্থান হচ্ছে ইতিহাসে অথবা যাদুঘরে। এসব ধ্বংস এবং সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ মানুষের রুচিবোধের পরিবর্তন। একসময় টাঙ্গাইলে প্রতিটি গ্রামে নজরে পড়ত অসংখ্য মাটির ঘর। তবে কালের বিবর্তনে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘর। যা অত্যন্ত আরামদায়ক মাটির আবাস দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি বিত্তবানরাও একসময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন।
এখন মাটির ঘর ভেঙ্গে নির্মাণ করা হচ্ছে ইট-পাথরের তৈরি পাকা দালান ঘর। বর্তমানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের মত মাটির ঘরগুলো গরমে শীতল আর শীতে উষ্ণ তাপমাত্রা দেয়।
মাটির ঘর শীত, গরম উভয় মৌসুমে বেশ আরামদায়ক। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ (বন্যা, ভূমিকম্প বা প্রবল ঝড়) না হলে এসব ঘর শতাধিক বছর পর্যন্ত টিকে থাকে। অনেক সময় মাটির ঘর দোতলা পর্যন্ত করা হয় এবং দোতলা ঘর বেশি বড় হয়না। গৃহিণীরা তাদের নরম হাতের কোমল ছোঁয়ায় অত্যন্ত নিপুণতার সাথে কাঁদা দিয়ে লেপে মাটির ঘরের দেয়ালগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। এখন আর সেই মাটির ঘড় চোখে পড়ে না বললেই চলে। তবে এখনো বাপ-দাদার স্মৃতি ধরে রাখতে অনেকেই দুই একটা মাটির ঘর টিকিয়ে রেখেছে।
বর্তমানে মাটির ঘরের স্থান দখল করে নিয়েছে ইট, সিমেন্ট, বালি ও রডের তৈরি পাকা ঘরগুলো। মাটির ঘরগুলো বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দূযোর্গে বিশেষ ক্ষতি সাধন হয় বলেই মানুষ ইট সিমেন্টের ঘর-বাড়ি নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছে। এতে প্রতি বছর মাটির ঘরে খরচ না করে একবারে বেশি খরচ হলেও পাকা ঘর-বাড়িই নির্মান করছেন। বর্তমানে মাটির ঘরের সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় বিলুপ্তির কাছাকাছি। হয়তো সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন মাটির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে হারিয়ে যাবে।
এক সময় হয়তো আগামী প্রজন্মের মানুষের কাছে মাটির ঘর রূপকথার গল্পের মত মনে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মাটির ঘরের গল্প, কবিতার ছন্দে বা সাহিত্যর পাতায় বা যাদুঘরেই দেখবেন; তারা স্বচক্ষে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর দেখতে পারবেন না। 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।