শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাতারবাড়ী প্রধান সড়কে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের রঙিন বিলবোর্ডের প্রতিযোগিতায় ঢাকা গ্রামীণ সৌন্দর্য

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

রঙিন বিলবোর্ডে আড়াল হয়ে যাচ্ছে সবুজ গ্রাম। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনের পর এবার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড কেড়ে নিচ্ছে গ্রামীণ সৌন্দর্য। শহরে পর গ্রামে হানা দিয়েছে বিলবোর্ডে প্রচার সংস্করণ । মহেশখালী উপজেলার দেশের বৃহত্তর সরকারের চলমান মেগা প্রকল্প এলাকা মাতারবাড়ী সড়কে যত্রতত্র স্থাপন করা হচ্ছে বিলবোর্ড। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতেও বিলবোর্ড। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি দেখতে পান না চালক। ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। উক্ত সড়কে শিক্ষার্থীসহ অসংখ্যা প্রাণহানি ঘটনা ও ঘটেছে।

 

গ্রামীণ দৃষ্টিনন্দন সব সৌন্দর্যকে আড়াল করে দিয়েছে বিলবোর্ড। বিলবোর্ড শহর ছেড়ে এখন গ্রাম দখল করে নিয়েছে। যাত্রীবাহী গাড়ীর পাশে বসে যেতে যেতে মনোমুগ্ধকর সব দৃশ্য দেখে কিছুটা রোমাঞ্চিত হওয়ার পর গ্রামীণ সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে করতে সড়কের অংশে বিশাল বিলবোর্ড দেখে মুহূর্তের মধ্যে আবার বিরক্ত প্রকাশ করলেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মাতারবাড়ীতে সরকারী-বেসরকারী চাকরিতে ও জীবিকার তাগিতে আসা লোকজন। আসলেই বিলবোর্ডে ঢাকা পড়ছে গ্রামীণ সৌন্দর্য। রঙিন বিলবোর্ডর আড়ালে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সবুজ গ্রাম। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের তোষামোদি বিলবোর্ডের কারণে দিনের পর দিন সৌন্দর্যহানি ঘটছে। বিলবোর্ড বসানোর প্রতিযোগিতায় রাজনৈতিক নেতারা। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। স্থানিয় বাসিন্দারা বলেন, সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে বিলবোর্ডের কারণে অল্প দূরুত্বেও দেখা যায় না। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি দেখতে পায় না চালকরা। এতে বিলবোর্ডের কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটছে। এসব বিলবোর্ডের কবলে পড়ে আপন সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলছে গ্রামীণ জনপদ। বিলবোর্ডের কারণে সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি বাড়ছে মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

 

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা গেছে এসব বিলবোর্ডের কোনোটির অনুমোদন নেই। কিন্তু অবৈধ এসব বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে কখনো উচ্ছেদ অভিযান করতেও কাউকে দেখা যায়নি। ফলে সড়কের পাশে দিনের পর দিন বাড়ছে অবৈধ বিলবোর্ড। সরেজমিন দেখা যায়,মাতারবাড়ী ব্রীজ থেকে সাইরার ডেইল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের পাশে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসানো হয়েছে ছোট-বড় বিলবোর্ড। সড়কের দুই পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায়, আবাদি জমিতে, সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক এবং মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে অবৈধ এসব বিলবোর্ড। কোথাও কোথাও সড়কের পাশ ঘেঁষে সওজর জায়গায় শুধু একটি খুঁটির উপর মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ১৫ থেকে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। মহেশখালী মাতারবাড়ী সড়কের সিএনজি চালক সাজ্জাদ ও ফোরকানসহ অনেকে জানান, সড়কের পাশে অসংখ্য বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতেও বিলবোর্ড বসানো হয়েছে। এসব বিলবোর্ডের কারণে গাড়ি চালাতে নানাভাবে সমস্যা হয়। তারা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোর মাঝামাঝি স্থানে এমনভাবে বিলবোর্ড বসানো হয়েছে যেখানে ২৫-৩০ ফুট দূরেও দেখা যায় না। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি কম দেখা যায়। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। যা যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। ফলে জনস্বার্থে এসব ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড অপসারণ করা দরকার।

 

রাজনৈতিক নেতাদের বিলবোর্ডের বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা জানান, সড়কের পাশে অনুমোদনহীন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বিলবোর্ড আওয়ামী লীগের নেই। যেগুলো আছে সেগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত। হাইব্রিড নেতারা একটু বেশি তোষামোদি প্রকৃতির হয়। তাঁরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির চেয়েও নিজের ছবিকে বড় করে দিয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করে বড় নেতা বনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে এ ধরনের বিলবোর্ড করার ব্যাপারে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এসব বিলবোর্ড অনেক সময় সৌন্দর্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘মাতারবাড়ী সড়কের পাশে আমাদের জায়গায় কিছু বিলবোর্ড রয়েছে। তবে কোনো বিলবোর্ডের অনুমোদন নেই। সবগুলো অবৈধ। আবার সড়কের পাশের সব বিলবোর্ড সওজর জায়গায় নয়। কিছু কিছু সাধারণ লোকজনের জায়গায়ও করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতেও বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কিছুটা বেড়ে যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘কিছু কিছু বিলবোর্ড আছে একটি খুঁটি সওজর জায়গায় আর অন্য খুঁটি পাবলিকের জায়গায়। অবৈধভাবে বিলবোর্ড স্থাপনের ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এসব অবৈধ বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে উচ্ছেদ করে দিব।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।