লামার সন্নিকটে চকরিয়ার উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও দফাদার আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও দফাদার আবদুল মান্নান “ব্যাংক এশিয়া ” এজেন্ট ব্যাংকিং এর নিজেই প্রতিনিধি হওয়ায় সুযোগে উপকারভোগীদের ভাতার কার্ডে উল্লেখিত টাকা প্রদান না করে গোপনে ভাতার টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে কম বা অর্ধেক প্রদান করে নিজেই অসহায় এসব ব্যক্তিদের টাকা আদায় করে আত্মসাত করছেন। সরেজমিনে, বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া (১ নং ওয়ার্ড) গ্রামের দুলা মিয়ার প্রতিবন্ধি মেয়ে মরিয়ম বেগম, জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবন্ধী জন্নাতুল ফেরদৌসী সহ অনেকেই অভিযোগ করে জানান, কেউ তিন মাসে আবার কেউবা ছয় মাসে এসব ভাতা উত্তোলন করে আসছিল। ]
কিন্তু গত১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বয়স্ক-প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা উত্তোলন করতে গেলে দফাদার আবদুল মান্নান কার্ডের উল্লেখিত টাকার পরিবর্তে অর্ধেক টাকা প্রদান করে পুরো টাকা প্রদান করেছে মর্মে লিখে দেন। এভাবে সবার কাছ থেকে বই গুলো নিজের কাছে রেখে গোপনে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন এই মান্নান । তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দফাদার আবদুল মান্নান বলেন, এসব আমার বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্র। টাকা গুলো মুলত স্হানীয় ইউপি মেম্বারের সামনে বিতরণ করা হয়। এই প্রসঙ্গে চকরিয়া সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী মোঃ হুমায়ন মীর্জা জানান,উপকারভোগী অভিযোগ শুনেছি এবং সরেজমিনে গিয়ে যাছাই করা হবে। বমু বিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতলব জানান, গোপনে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে দফাদার মন্নান তার বিরুদ্ধে এসব ঘটনার সত্যতার প্রমান মিলেছে। চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: তানভীর হোসেন জানান,এই বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। স্থাহানীয় চেয়ারম্যান এর সাথে আলোচনা করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
CBALO/আপন ইসলাম