শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে ইউপি নির্বাচন

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

তীব্র অন্তর্দলীয় কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থী সামলাতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে করার চিন্তা হলেও আপাতত সেই ভাবনা থেকে পিছিয়ে এসেছে সরকার। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে।

প্রতীক পরিবর্তনের জন্য আইন পাস করার সুযোগ আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও দলীয় প্রতীকেই ভোট করতে চাচ্ছে। এখনই দলীয় প্রতীক থেকে সরে আসার কথা ভাবছেন না তারা।

সূত্র মতে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে কি না- এ নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পক্ষে-বিপক্ষে মতামত তুলে ধরছেন কেউ কেউ। তবে দলীয় প্রতীক তুলে দিয়ে নির্দলীয় নির্বাচন করতে যে আইন পাস করা প্রয়োজন সে সময় এখন নেই।

গত বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই। দরকারও নেই। যে আইন-বিধি আছে তা যথেষ্ট।’ একই সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে আইনে নির্বাচন করি, সেটি স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রণীত। স্থানীয় সরকার বিভাগ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন সংশোধন না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আইনে যা আছে সে অনুযায়ী ভোট করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্দলীয় নির্বাচন কেবলই আলোচনা। বাস্তবে নির্বাচন দলীয়ভাবেই হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট বর্জন করার কারণে এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে। এই অবস্থায় দলীয় প্রতীকে বিএনপিকে নির্বাচনে আনা লক্ষ্য ছিল। এই হিসাব কষে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে মাঠপর্যায়ে দলের ভিত মজবুত হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা সাংগঠনিক ভিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতিবাচক ফল দেয়। যার সুফল আওয়ামী লীগ পেয়েছে। তারা আরো বলছেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে গিয়ে ছোটখাটো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের জন্য এটা তেমন কোনো ঘটনা নয়। আর আওয়ামী লীগই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করেছে। এখনই তুলে দেওয়ার পক্ষে নয় তারা।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, “দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার আইন আওয়ামী লীগ সরকারই পাস করেছে। ছোটখাটো ঝামেলা হলেও দলীয় প্রতীকে ভোট গ্রহণ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। খুব নিকট ভবিষ্যতে দলীয় প্রতীক তুলে দেওয়ার আলামত দেখছি না।”

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রার্থী বাছাইয়ে কিছুটা ঝামেলা থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেন। দলীয় প্রতীক তুলে দিতে আমাদের দলের কিছু নেতা-কর্মী বুঝে হোক, আর না বুঝে হোক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের মতামত দিচ্ছেন। এই মুহূর্তে যারা দলীয় প্রতীক তুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন, তারা আসলে নিবন্ধনহীন জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বাজার যাচাই করছেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় দলটির নেতারা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।

দলের একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি দলের স্থানীয় সরকারের মনোনয়ন বোর্ডে একজন সিনিয়র সদস্য আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে দেওয়ার পক্ষে মতামত তুলে ধরেন। তবে সেই আলোচনায় সাড়া দেননি দলীয় সভানেত্রী ও মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে দেওয়া হবে- এমন কোনো সিদ্ধান্ত দলীয় ফোরামে হয়নি। চলতি মাসের শেষে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে।’

সূত্র মতে, এই মুহূর্তে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এই আইন সংশোধনীর সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। স্থানীয় সরকার বিভাগ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন সংশোধন না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যমান আইনে যা আছে সে অনুযায়ী ভোট করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কোনো কাজ শুরু করেনি।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে দেওয়ার কোনো নির্দেশনা স্থানীয় সরকার বিভাগ পায়নি। সুতরাং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে দিতে হবে এমন কোনো কাজ বা আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।