কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী-খুরুশকুল সংযোগ সেতুর পাশ থেকে একটি ফিশিং বোট থেকে ৭ বস্তা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত বস্তায় ১৪ লাখ ইয়াবা পাওয়া গেছে। ১৪ লাখ ইয়াবাসহ আটক ইয়াবা জহিরুল ইসলাম ফারুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাড়ি থেকে ২ বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়। উক্ত টাকার বস্তায় ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা পাওয়া যায়। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজার নুনিয়ারছড়া ফারুকের বাড়ি থেকে এসব টাকা উদ্ধার করা হয়। শুধু তা নয়, রাত ৮ টার দিকে তার স্বীকারোক্তি মতে আটককৃত ফারুকের চাচা শ্বশুর নুনিয়াছড়ার ছৈয়দ আলমের বাড়ি থেকে আরো ৩ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত অভিযানে এক গৃহকর্মীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই অভিযান শুরু করা হয় এবং সাড়ে ৯টায় শেষ হয়। এই মাফিয়ার মোট ইয়াবার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ লাখ +৩ লাখ ৭৫ হাজার সর্বমোট ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা । এছাড়া নগত ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। কক্সবাজারের এটি সর্ববৃহৎ ইয়াবা চালান উদ্ধার হওয়া ।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারের হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রথম ইয়াবার বৃহৎ চালান জব্দ সহ জড়িত দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের কয়েকটি দলের সমন্বয়ে চালানো এই অভিযানে একটি বোট থেকে ইয়াবা ভর্তি সাতটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তায় ২৫ থেকে ৩০ কাট ইয়াবা পাওয়া গেছে। সর্বমোট ১৪ লাখ ইয়াবা হয়েছে। তার স্বীকার উক্তি মতে সন্ধ্যায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে উপরে উল্লেখ্য টাকা ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার পুলিশ সুপার বলেন, এই চালানের সাথে একটি ইয়াবা চক্র জড়িত। এই চক্রের দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার সহ পরে গৃহকর্মি আটক করে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় পুলিশ সুপার।
CBALO/আপন ইসলাম