শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভারতকে পিছনে ফেলেছে বাংলাদেশ: আনন্দবাজার পত্রিকা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

‘আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের ২০২০ সালের হিসাব— জনপ্রতি জিডিপির দিক দিয়ে বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলেছে।

করোনাপূর্ব সময়েই দুই দেশ এই অবস্থানে এসেছিল। অতঃপর কোভিড-১৯ ভারতীয় অর্থনীতিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির চেয়ে বেশি বিপন্ন করেছে।

যেহেতু যেকোনো যাত্রারই চরিত্র নির্ধারিত হয় তার সূচনাবিন্দুর ওপর নির্ভর করে: ১৯৭২ সালে ভারত যে অবস্থায় ছিল, নতুন বাংলাদেশ (যাকে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হেনরি কিসিঞ্জার ‘বাসকেট কেস’ বলেছিলেন) যেখানে ছিল, তা মাথায় রাখলেই বোঝা যায়, কে কতটা এগিয়েছে বা পিছিয়েছে।’

এ ভাষাতেই সোমবার কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসা করা হয়েছে। ‘ঠাকুরঘরে’ শিরোনামে ওই সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনা করা হয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন পলিসির।

এতে বিভিন্ন খাতের তুলনামূলক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পার্থক্য তুলে ধরা ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে সমানতালে এগোতে ভারত সরকারের কী করা উচিত, তা নিয়েও নিজস্ব মত জানিয়েছে পত্রিকাটি।

উন্নয়নের জন্য পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসা করলেও এতদিন ভারতীয় গণমাধ্যম এ নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু আনন্দবাজার পত্রিকার এ সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের উচ্ছসিত প্রশংসা করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সেদিনের সদ্যজাত ক্ষুদ্র দেশ এখন মহাগৌরবে উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মুখোজ্জ্বল করতে ব্যস্ত। বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এই উপমহাদেশের অন্য দেশ, এমনকি তথাকথিত আঞ্চলিক মহাশক্তিরাও আজ ঈর্ষান্বিত।

ঢাকার বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার এখন ইসলামাবাদের তিনগুণ। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে সুইডেন বানাবেন বললে উপদেষ্টারা বলেন, আগে বাংলাদেশের সমকক্ষ হোন।’

বাংলাদেশের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে, এসব ‘দায়িত্ব’ দিল্লির বর্তমান শাসক দলকেই নিতে হবে, এমনটা নয়, যদিও গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি উপর্যুপরি খারাপ হয়েছে।

কিন্তু বর্তমান শাসকের ‘ঠাকুরঘরে কে’ ভাবটিই সাক্ষাৎ প্রমাণ, তারা নিজেরাই নিজেদের ‘অপরাধ’র ভাগিদার ভাবে। অথচ বাংলাদেশের সমৃদ্ধির মতো ঘটনাকে আইটি সেলের অপপ্রচারের হাতে ছেড়ে না দিয়ে দিল্লির উচিত ছিল, অর্থনীতিবিদ ও সমাজতাত্ত্বিকদের সাহায্য নিয়ে সেই দেশ থেকে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করা।

মোদি প্রশাসনের সমালোচনা করে সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, আইএমএফের হিসাব আন্তর্জাতিক নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় ও উদ্বিগ্ন বিজেপি আইটি সেল বুঝাতে শুরু করেছে, কেন বাংলাদেশ ও ভারতের এই তুলনা আসলে বাস্তবের যথার্থ প্রতিফলন নয়।

আইটি সেলের যুক্তিতর্কের ধরনের সঙ্গে পরিচিতরাই বুঝবেন, কী ধরনের মারপ্যাঁচ এই বক্তব্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প সেক্টরই তাকে করোনা-সংকটে বাঁচিয়াছে, এমন যুক্তিও সেই মারপ্যাঁচে জায়গা পেয়েছে— যদিও বোঝা কঠিন, ভারতকে সেই শিল্পে বা সমস্তরের কোনো শিল্পে মনোনিবেশ করতে কে কবে বাধা দিয়েছিল।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।