বৃহস্পতিবার , ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তাড়াশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের শিশুকে হত্যার চেষ্টা, মামলা নেয়নি পুলিশ

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নয় বছরের শিশু শাহজালালকে মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে ইমন তার দাদা কোরবান আলী,মা ও দাদারী বিরুদ্ধে । পরে আহত শাহজালালকে উদ্ধার করে স্থানী ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে­ক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত শাহজালালের মা ছালমা খাতুন বিচার চাইতে গেলে তাকেও মারপিট করে কোরবান আলী গং।

আহত শিশু উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুরিয়া সরকারী প্রাথামিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও একই গ্রামের আবু সামার ছেলে। গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বিচার না পেয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও থানায় মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন আহত শিশুর মা ছালমা খাতুন।

জানাযায়, তাড়াশ উপজেলার হামকুরিয়া গ্রামের কোরবান আলী পরিবার ও আবু সামার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত বুধবার ( ২০ মে ) বিকেল ৩ টার দিকে কোরবান আলীর ছেলে আব্বাস আলীর নির্দেশে তার ছেলে ইমন, আবু সামার ছেলে স্থানীয় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শাহজালাল (৯) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শমসের হাজীর ইঊক্লালিপটাস বাগান বাড়ী ইমন মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় ইমনের চিৎকারে প্রতিবেশী ফজলুর মাস্টারে স্ত্রী নাছিমা আহত অবস্থ্যায় উদ্ধার করে।

নাছিমা খাতুন বলেন, আমি চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই সেখানে দেখতে পাই ইমন ছেলেটি শাহজালালের বুকে উপর বসে গলাটিপে ধরে আছে তখন আমি তাকে ধরে টেনে তুলি। পরে তার শাহজামালের মা ছালমা খাতুন বিচার চাইতে গেলে কোরবান আলীর গং তাকে মারপিট করে বিদায় করে দেয়।

এ ঘটনায় আহতের বাবা আবু সামা, মা ছালমা খাতুন গ্রাম্য প্রধানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে নির“পায় হয়ে তাড়াশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ছেলে কে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে­ক্স হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় রেখে তাড়াশ থানার (ওসি) কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান,ওসি ঘটনাটি শুনে তাদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে থানা থেকে বের করে দেয় বলে আহত শিশুর বাবা আবু সামা ও মা ছালমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইমনের মা লতা খাতুন বলেন, আমার ছেলেকে শাহজামাল মারপিট করেছে পরে আমার ছেলে মারা ইমনকে মারপিট করেছে।

ইমনের দাদা কোরবান আলী বলেন, আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না পরে লোক মূখে শুনি বাড়িতে মারামারি হয়েছে।

অভিযোগ তদন্ত কারী কর্মকর্তা এএসআই নুর-নবী বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি তদন্ত করি এবং দুই পক্ষ কে বলে আসি বিষয়টি নিজেদের ভিতর শেষ করে দিতে কারন ছেলে দুইটাই না বালক। তার যদি নিজেরা মিমাংসা না করে তা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মাহবুবুল আলমের সাথে কথা বলতে থানায় গেলে তাকে না পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে অভিযোগকারীর নাম শুনে ফোনের লাইন কেটে দেন। পরে মুঠোফেন কল দিলে তিনি আর রিসিভ করেন নাই ।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।