সোমবার , ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও এক লাখ গৃহহীন বাড়ি পাবে

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আবাসন সুবিধার আওতায় আনার জন্য সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরো এক লাখ বাড়ি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আবাসন সুবিধার আওতায় আনার জন্য কাজ করছেন।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে বাড়ি বিতরণের কর্মসূচি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, গৃহ ও ভূমিহীন মানুষের মাঝে হস্তান্তরের জন্য সরকার বিশ্বে প্রথমবারের মতো ৬৬ হাজার ১৮৯টি বাড়ি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নোয়াখালী জেলার (বর্তমানে লক্ষ্মীপুর) চরপোরাগাছা গ্রাম পরিদর্শনকালে ভূমিহীন, গৃহহীন ও অসহায় লোকদের পুনর্বাসনের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।’ মুখ্য সচিব বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও দেশের জন্য কল্যাণমুখী ও উন্নয়ন কর্মসূচি শুরু করেন। সরকার মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য এক হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি বাড়ি নির্মাণ করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অধীন আশ্রয়ন প্রকল্প মুজিব বর্ষ উদযাপনকালে ২১টি জেলায় ৩৬টি উপজেলায় ৪৪টি প্রকল্পের অধীনে ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণ করে তিন হাজার ৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করছে। আশ্রয়ন-২-এর প্রকল্প পরিচালক মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প ২০২০ সালে আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা তৈরি করে। তাদের মধ্যে দুই লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার এবং পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি পরিবারের এক থেকে ১০ শতাংশ ভূমি রয়েছে। তবে তাদের বসবাসের বাড়ি নেই। মাহাবুব হোসেন আরো জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প ১৯৯৭ সালে থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ২০ হাজার ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য ব্যারাক নির্মাণ করছে। ড. কায়কাউস আরো বলেন, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প চার হাজার ৮৪০.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে (জুলাই ২০১০ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত) দুই লাখ ৫০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ও ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সারা দেশে এক লাখ ৯২ হাজার ২২৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে এরই মধ্যে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৪৮ হাজার ৫০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এক লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৭টি পরিবারের প্রত্যেকের এক থেকে ১০ শতাংশ ভূমি রয়েছে। কিন্তু তাদের বাড়ি করার সক্ষমতা নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্বাস্তু কক্সবাজারের খুরুশকুলে ৬০০ পরিবারের জন্য ২০টি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ডিটেইল্ড প্রজেক্ট প্রপোজালের (ডিপিপি) মাধ্যমে আরো ১১৯টি বহুতল ভবন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে। পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর সদস্যদের আয় সংস্থানমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে সক্ষম করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা অর্জন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) অর্জনের জন্য দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে প্রকল্প কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।