শুক্রবার , ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

করোনায় নিঃস্ব হয়ে পরেছেন কীর্তনখোলার বেলতলা খেয়াঘাটের ইজারাদার

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১

রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
করোনা মহামারীতে ইজারা নেয়ার পর পরই লকডাউনের সময় সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব কম সংখ্যক লোকজন ট্রলারে পারাপার হওয়ায় ইজারারা টাকা উঠছেনা নগরীর কীর্তনখোলা নদীর বেলতলা খেয়াঘাটের ইজারাদার মোখলেছুর রহমান সিকদারের।

ফলে অনেকটা দিশেহারা হয়ে তিনি (ইজারাদার) এখন নিঃস্ব হয়ে পরেছেন। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য মোখলেছুর রহমান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেও অদ্যবর্ধি কোন সুফল পাননি। এমনকি বেলতলা খেয়াঘাটের বিপরিত পাশে চরমোনাই ঘাটে টার্মিনাল থাকলেও বেলতলা ঘাটে টার্মিনাল না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ট্রলারে পারাপার হওয়া যাত্রীদের। বেলতলা ঘাটে টার্মিনালের পাশে কোন রকম দায়সারা ভাবে ট্রলার নোঙর করা হচ্ছে। ফলে ট্রলার থেকে ওঠানামার সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন যাত্রীরা। এছাড়াও সাধারণ মানুষ, মোটরসাইকেল, সাইকেলসহ মালামাল পারাপারে বাড়ছে চরম ঝুঁকি।

সূত্রমতে, বরিশাল জেলা পরিষদের অধীনে ১৪২৭ বাংলা সনের ইজারা গ্রহণ করেন মোখলেছুর রহমান। তিনি ৫৪ লাখ টাকা ধার দেনা করে কর্তৃপক্ষকে ওইবছরের ইজারার টাকা পরিশোধ করেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, ইজারা নেয়ার পর পরই প্রথম দফায় করোনার প্রভাব পরায় লকডাউনের কারণে খেয়াঘাটের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিশাল অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে ইজারাদারকে।

বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায়ও স্বল্প সংখ্যক মানুষ খেয়াঘাট ব্যবহার করে ট্রলারে পারাপার হচ্ছেন। যেকারণে আগের বছরের ধার দেনার টাকা পরিশোধ করাতো দুরের কথা বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে অভাব অনাটনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ইজারাদার মোখলেছুর রহমান সিকদার। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা সত্বেও কোন সুফল পাননি।

ইজারাদার মোখলেছুর রহমান সিকদার বলেন, ইজারাদাতা কর্তৃপক্ষ জেলা পরিষদ ১৪২৮ বাংলা সনের ইজারা স্থগিত করে পূর্বের ইজারা মূল্যে আমাকে মানবিক কারণে পূর্ণরায় ইজারাদার হিসেবে মনোনিত করলে হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব হবে। নতুবা ধারের টাকার পরিশোধ করতে না পারার কারণে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।