সোমবার , ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চা উৎপাদনে তৃতীয় পঞ্চগড়

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পঞ্চগড় ইতোমধ্যে দেশের তৃতীয় চা উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে তৎকালীন জেলা প্রশাসক রবিউল হোসেনের ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে টবে চা চাষে সফলতা অর্জন করলে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের একটি বিশেষজ্ঞ দল এসে পরীক্ষা করে পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও এলাকার মাটিতে চা চাষ সম্ভব। পরে ২০০০ সালে তেঁতুলিয়া চা কাজী এন্ড কাজী বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করে সীমান্ত এলাকা তেঁতুলিয়ায়। পঞ্চগড়বাসী আজ থেকে ২০ বছর আগে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু এখন চা চাষে নীরব বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে চা। জেলায় চা চাষ হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের যেমন আয়ের পথ তৈরি হয়েছে তেমনি সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান। চা চাষে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৪ হাজার নারী পুরুষ লাভবান হচ্ছে।

 

এই চা দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। চা বাগান দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত আসছে পর্যটক। মুগ্ধ হচ্ছে তেঁতুলিয়ার সমতল ভূ‚মির চা বাগান দেখে। মাত্র কয়েক বছরে ভরে গেছে সবুজের সমারোহে। দেবনগরের আবু হাসান বলেন, চা চাষে কোনো ঝামেলা নেই। নেই পরিশ্রম। চা চাষ অত্যন্ত সহজ ও লাভজনক। যেসব জমিতে অন্য কোনো ফসল হয় না, সেসব জমিতে সহজে চায়ের চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। তেঁতুলিয়ার মতিয়ার রহমান বলেন, চা চাষে অধিক লাভবান। এখন তেঁতুলিয়ার মানুষ চায়ের উপর নির্ভরশীল। বছরে একর প্রতি খরচ বাদে ১ লাখ টাকা অবশিষ্ট থাকে। বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় অফিস সুত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলায় ৯ হাজার একর জমিতে চা চাষ করা হচ্ছে । এ পর্যন্ত নিবন্ধিত চা-বাগান ১১৩৪ টি, ৯ টি এস্টেট রয়েছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে অনেক। চা প্রক্রিয়াজাতের জন্য কারখানা চালু রয়েছে ১৮ টি। এ মৌসুমে কাঁচা চা পাতা সর্বোচ্চ খরচ বাদে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা বিক্রি হয়েছে। পঞ্চগড় জেলায় ২০১৯ সালে চা উৎপাদন হয়েছে ৮৬ লাখ কেজি। চলতি বছরে প্রায় ১ কোটি কেজি চা উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে আশাবাদ ।

 

বাংলাদেশ চা বোর্ড,( বিটিবি) নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল-মামুন জানান, আমরা নিবন্ধিত চাষিদের স্বল্পমূল্যে চা চারা দিচ্ছি, চা বাগান পরিদর্শন করে ট্রেনিং ও পরামর্শ দিয়ে থাকি। চা চাষ অধিক লাভবান বিক্রিতে ঝামেলা নেই তাই পঞ্চগড়ের মানুষ ঝুঁকে পড়েছে চা চাষে। তিনি আরও বলেন, আমাদের এটুআই কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক দুটি পাতা একটি কুড়ি নামে মোবাইল অ্যাপ্স রয়েছে সেখান থেকে চা সম্পর্কে যেকোন তথ্যের পরামর্শ পাওয়া যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।