সাইফুল ইসলাম: পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ১৮ পেশাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ১৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। ১৮ বছরের কম বয়সীদের আপাতত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। আর ভ্যাকসিন কেনা, পরিবহন ও সংরক্ষণ বাবদ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা।
‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রথম সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করলে তা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং প্রধানত ভ্যাকসিন কেনার জন্যই চলমান প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এমনকি এটিসহ একনেক সভায় এদিন মোট ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক সভাপতি শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেছেন এবং শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, গুরুত্বের ভিত্তিতে কোভিডের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তারা প্রয়োজন ছাড়া ভ্যাকসিন পাবে না। দেশব্যাপী সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছয় নয় সহ্য করা হবে না।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সম্মুখ বা প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মজীবী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মী, বন্দরগুলোর কর্মী, ব্যাংককর্মী, স্বল্প বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, এফফডিএমএন ক্যাম্পে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী উল্লেখযোগ্য।
এমনকি পরিকল্পনা কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, শ্রমঘন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক/কর্মী, শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক/কর্মী,
হাটবাজারের স্থায়ী/অস্থায়ী ব্যবসায়ী ও কর্মচারী, এতিমখানাসহ সব ধরনের পরিবহন শ্রমিক এবং বিদেশগামী ও বিদেশফেরত রেমিটেন্স কর্মীসহ সব ব্যক্তিকে গুরুত্বও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ১৮ বছরের কম বয়সীদের বাদ দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য মোট জনসংখ্যা ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ২০ লাখ। এদের মধ্যে ১৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ৯ শতাংশ বা ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এতে পর্যায়ক্রমে ৪১ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে।
CBALO/আপন ইসলাম