কামরুজ্জামান কানু :
জামালপুরের ইসলামপুরে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা কার্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি শিউলী আক্তারের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার চরগোয়ালিনী বালুচান্দা গ্রামের মৃত রেহান আলীর স্ত্রী ছাহিরন বয়স্ক ভাতা ভোগী বহি নং ৯৯৫০, একই এলাকার মৃত কুদরত আলীর ছেলে আব্দুল জব্বার, বহি নং ৯৯৩৬ ও আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী বহি নং ৯৯১৭ অমিছা খাতুনসহ ৯৯৫৪, বিধবা ৪৭৮৮ বহি নং এ বিগত জুলাই/১৯ সাল থেকে ভাতা প্রদয়ের অনুমোদন দেয় সমাজ সেবা অফিস।
সেই ভাতা কার্ড সমাজ সেবা অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজসে ভাতাভোগীদের না দিয়ে নিজের কব্জায় রেখে দেয় সেই যুব মহিলা লীগ নেত্রী। জুলাই/১৯ হতে জুন/২০ পর্যন্ত প্রতি নামে ছয় হাজার করে টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে ভাতা ভোগীদের না দিয়ে প্রতি নামে পাঁচ হাজার করে টাকা আত্মসাৎ করে শিউলী আক্তার।
২৩ ডিসেম্বর বিকালে সরেজমিনে গেলে উপরিউক্ত ভুক্তভোগীরা জানান, ‘আমরা অসহায় গরীব মানুষ এ বয়সে কামাই আজন(উপার্জন)করতে পারি না। সরকার আমগরে জন্য বয়স্ক, বিধবা ভাতা দিছে। ইসলামপুর অফিস (সমাজ সেবা অফিস) কার্ড আমাদের হাতে না দিয়ে, দিছে শিউলীর কাছে। এ সুযোগ পায়ে আমগরে (আমাদের) ব্যাংক নিয়ে টাকা তুইলে এক হাজার করে টাকা দিছে। বাকি টাকার কথা জানতে চাইলে ঝগড়া করে। ইসলামপুর অফিসেও (সমাজ সেবা অফিস) বিচার দিছি, তাউ এহনো টাকা পাইলাম না। এছাড়াও এলাকার একাধিক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে পুষ্টির নামসহ বিভিন্ন কাজের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে।
ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি শিউলী আক্তার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে‘টাকা নিয়ে আমি খায়নি, ১৬ হাজার টাকা শহিদুল্লাহ চেয়ারম্যানেরে দিছি। শুধু এই টাকা না পুষ্টি নামের ৭৫ হাজার টাকা দিছি। আমার ডায়েরিতে লেখা ছিল। সেখানে চেয়াম্যানের স্বাক্ষরও ছিল। তবে ডায়েরিটা আমার হারিয়ে গেছে, তা না হলে দেখাতে পারতাম আপনাদের।
চরগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শদিুল্লাহ সরকার তার সাথে কোন যোগাযোগ নাই এবং টাকাও নেয়নি।
উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আবিদা সুলতানা যুথী সাথে কথা হলে তিনি বিষটা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন বিষয়টি আমি শুনেছি এবং তাকে (ভাতাভোগীদের) টাকা ফেরৎ দিতে বলেছি।