লামা প্রতিনিধিঃ
লামার পার্শ্ববর্তী চকরিয়ার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নে ৩০ বছরের পুরনো অসহায় এতিমের ভোগ দখলীয় বসতভিটা জবর -দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ইং) সকালে ইউনিয়নের বমুরকুল (৬নং ওয়ার্ড)এ পশ্চিম পাশে রিভার্ভ এলাকায় প্রতিপক্ষ মিজান গং পাহাড় কেটে দখলে নিতে দলবল নিয়ে জমিতে শষ্যরোপণ করেন। সরেজমিনে ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ এলাকার সমাজ,দেশের প্রচলিত আইন অমান্যকারি, জোর প্রভাবকারি,পরের জায়গা-জমি দখলকারি,ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হন।
বর্ণিত বসতভিটা বাড়ির জায়গা-জমি আমাদের পৈত্রিক ওয়ারিশয় ভোগ দখলীয়। আমাদের পিতা মৃত আহামদ হোসেন ৩০/৩৫ ভোগদখলে থাকিয়া মৃত্যু বরণ করেন। পরে আমাদের মা অন্য খানে পুনরায় বিয়ে হওয়ায় আমরা পরিত্যক্ত অবস্থায় আমাদের দেখাশুনার মত কেউ না থাকায় আমাদের এতিম চারবোন কুলছুমা আক্তার (১৭), নাছিমা আক্তার (১৪),ইয়াছমিন আক্তার (১০),নার্গিস আক্তার (৮) আমাদের ফুফি (বাবার বোন) রকিমা খাতুন (৪৫) লালনপালন করে আসছে। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে এতিম অসহায় দেখিয়া আমাদর একমাত্র মাথাগুছার ঠাই হিসেবে রেখে যাওয়া ৪০ (চল্লিশ শতক) বসতভিটা জোর দখল করিয়া নিতে কয়েকবার অপচেষ্টা চালালে এতে আমরা বাধা দিলে মারিবে, কাটিবে, জান-মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি দিয়ে আসিতেছিল। গত১৯,০৯,২০ইং,প্রতিপক্ষরা দখলে নিতে আমাদের পিতার সৃজিত বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ-বনজ গাছ সন্ত্রাসী কায়দায় কেটে নষ্ট করে। এর প্রতিকার পাওয়ার জন্য আমরা সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে চকরিয়ার থানায় একটি সাধারন ডায়েরিভূক্ত করি। কুলছুমা বেগম (১৮) বাদী হয়ে থানায় সাধারন ডায়েরি করি। যাহার জিডি নং-৮৬৮,তাং-২১.০৯.২০২০ ইং। পুনরায় প্রতিপক্ষরা জায়গা জমির প্রতি লোভের বর্শবতী মন মানসিকতায় তাদেরকে চিরতরে দখলচ্যুত করার চেষ্ঠা অব্যাহত রাখে।
এর ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ বর্ণিত জায়গা জবর -দখল নিতে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ইং) সকালে বমুরকুল-৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাশে রিভার্ভ এলাকায় প্রতিপক্ষ মিজান গং দলবল নিয়ে জমিতে শষ্যরোপণ করেন। সেক্ষেত্রে অভিযোগকারীর অভিভাবক রকিমা খাতুন (৪৫) জানান, জমি দখলে নিতে আজ সকালে এরা এলাকার আব্দুল গণির ছেলে মিজানুর রহমান (৪০),ভগ্নীপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৮),আজিজুর রহমান (৩৫)সহ অজ্ঞাত আরও ৬/৭ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে পাহাড় কেটে জমি সৃজন করে জমিতে শষ্যরোপণ করেন। এরা সমাজে প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা গরীব বলে কেই প্রতিকারের জন্য আসতেছে না। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,উক্ত জায়গা আমাদের কাগজীয় এ জন্য বর্গাচাষী আজ খেত করতে গেছে। বমু বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুছ বলেন,আমাদের বন বিভাগের জায়গায় যদি কেউ পাহাড় কেটে জমি জবর-দখল করার অপচেষ্টা করে সেক্ষেত্রে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দেওয়া হবে। আর আগামীতে সামাজিক বনায়নের ধারাবাহিকতায় অংশ বিশেষ বর্ণিত জায়গা গুলো বনায়নের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ব্যাপারে বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব জানান, এ ব্যাপারে আমি অবগত রয়েছি। তবে বিরোধিয় জায়গাসমূহ রিজার্ভ এলাকা।
CBALO/আপন ইসলাম