মুহাইমিনুল (হৃদয়) ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদী খননের নামে ফসলি জমি কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চরাঞ্চলের মানুষেরা। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী বাজার এলাকায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতির নদী ভাঙলে জমি খাস আইন বাতিল সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান, নদী ভাঙলে জমি খাস আইন বাতিল সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, কৃষক সমিতির জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
জানা গেছে, জেলার ভূঞাপুর অংশে অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে উপজেলার অর্জুনা, কুঠিবয়ড়া, ভরুয়া, জগৎপুরা, তালতলা, সুবর্ণচর, রাজাপুর, রামপুর, গোবিনাথপুর, জুঙ্গীপুর, চাঁনগঞ্জ রুলীপাড়া, বেলটিয়াপাড়া ও ডিগ্রিচরসহ বেশ কিছু গ্রামের হাজার হাজার একর ফসলি জমি খননের কাজ চলছে। নদী শাসনের নামে অপরিকল্পিত নদী খননের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে তারা। ফসলি জমি নষ্ট করে অপরিকল্পিত নদী খনন না করতে স্থানীয়রা সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করে। পরবর্তিতে হাইকোর্ট নদীতে খনন বন্ধে রুল জারি করেন। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খনন কাজ করছে।
এদিকে প্রতিদিনই নদী খননের প্রতিবাদে নতুন নতুন কর্মসূচী পালন করছে জমি হারানো অসহায় চরাঞ্চলের মানুষজন। ফলে এরসাথে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসীও। নদী ভাঙলে জমি খাস বাতিলের দাবী আদায়ের সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও সিরাজগঞ্জের নাটোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড চরাঞ্চলের মানুষজনের রেকর্ডকৃত ফসলি জমি কেটে নদী খননের কাজ করছে। কিন্তু মালিকানা জমি থাকলেও তাদের জমির টাকা পরিশোধ না করেই ইচ্ছেমত ফসলি জমি কাটছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অপরিকল্পিত নদী খনন বন্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদসভা করা হচ্ছে। গাবসারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, আমার এলাকার রেকডকৃত জমি কোন অবস্থাতেই খনন করে নদী বানাতে দেবো না।
CBALO/আপন ইসলাম