নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলায় ভারুয়াখালীতে চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষে কৃষকদের কাছ থেকে সেচের জন্য সেচযন্ত্রের/মটর মালিকেরা অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠছে। গত বছরের চেয়ে এই বছর প্রতিকানি/৪০শতক জমিতে পানি দিয়ে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেশী নিচ্ছে। প্রতি কানিতে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় বোরো চাষ করে লোকসান হচ্ছে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বর্তমান করোনা মহামারিতে কৃষকরা জীবন চালাতে হিমসিম খাচ্ছে তার মাঝে প্রতি বছরের চেয়ে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা, সেচের এই টাকা নিয়ে কষ্টে পড়েছে বোরো চাষী। আবার সেচের টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হলে ধান কাটতে দিচ্ছেনা স্কিমের মালিকেরা। তথ্য ভিত্তিতে জানা যায়,ভারুয়াখালীর স্কিম মালিকেরা একে অপরের সাথে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে সেচ খরচ নির্ধারণ করেন। তারা সুযোগ বুঝে কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গভীর ও অগভীর নলকূপের মালিকেরা। এতে বোরো চাষের কৃষকদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে।
ভারুয়াখালী হাজির পাড়া থেকে ভুক্তভোগী কৃষক রাসেদুল ইসলাম ,শের মোহাম্মাদ,মকবুল আহমদ,আজিুল হক,গুরা মিয়া,ছাবের আহমদ,মনজুর আলম, করিম সিকদার পাড়া থেকে ফরিদ,শফিউল আলম, নানামিয়ার পাড়া থেকে আব্দুল হামিদ, গুরামিয়া,আব্দুল হক সবার একই বক্তব্য কানি পিছনে দিতে হচ্ছে ৪০০০-৪৫০০ টাকা। ভারুয়াখালী প্রায় গ্রামে খবর নিয়ে জানা যায় সব স্কিমে একই অবস্থা। কৃষকদের উৎপাদন খরচ অনেক গুণ বেড়ে গেছে এতে অতিরিক্ত সেচ খরচ দিয়ে বোরো ধান চাষ করে লাভ ত দূরের কথা ক্ষতির পরিমান বেশি হচ্ছে। এভাবে ক্ষতি হলে চাষ করা কোন ভাবে সম্ভব নয়। কৃষক বলেন সেচে অতিরিক্ত টাকা নিলে আগামীতে আমাদের চাষ সম্ভব হবেনা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার তুশার বলেন, ‘বেশি টাকা আদায়ের ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পুরো উপজেলার সেচ স্কিমের মালিকদের তালিকা রয়েছে এবং একটা হার নির্ধারণ করে দেয়া আছে। ডিজেল চালিত হলে ৩ হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আর সীমত জমি হলে সামান্য কমবেশী হতে পারে। রাবার ড্রাম হলে ২ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ চালিত হলে ৩ হাজার টাকা। এটা বাস্তবায়নের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ সবার সহযোগিতা রয়েছে।
সরজমিনে ননামিয়া পাড়া বিদ্যুৎ চালিত মটর মালিক আবুল বশরে সাথে কথা বললে সে প্রতিবেদকে জানায় কানি প্রতি ৪৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। সে বলেন বিদ্যুৎ বিলের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে সেচের টাকা বেশি নিতে হচ্ছে।
করিম সিকদার পাড়া,মটর মালিক লুৎফুর রহমান বলেন সে ৪০০০ টাকা করে নিচ্ছে।
ভারুয়াখালী ৬নং ওয়ার্ডের এমইউপি মোসলেম উদ্দিন জানায়,হাজিরপাড়া,করিম সিকদার পাড়ার মোঃ ইসলাম,ইমরুল কায়েস,মোরশেদ ,চন্দুর পাড়ার আসলাম পারভেজ,মোঃ আরিফ উল্লাহ সহ আরো কয়েকজন বিদ্যুৎ চালিত হওয়ার পরও ৪৫০০ টাকা করে পানির খরচ নিচ্ছে।
এছাড়া ভারুয়াখালী প্রতিটি গ্রামে তথ্য নিয়ে জানাযায় ৪০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা বক্তব্য মতে বিদ্যুৎ চালিত হলে সেচে নেয়ার কথা ৩০০০ টাকা সেখানে ভারুয়াখালী প্রতিটি সেচ যন্ত্র বিদ্যুৎ চালিত হয়েও কৃষকের কাছ থেকে কেন অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে?
স্কিমের মালিক সরকারি নির্ধারিত পানির তালিকাকে তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিরোদ্ধে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় ও কৃষি কর্মকর্তা মহোদয়কে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে ভারুয়াখালী কৃষকরা জোরালো দাবী জানাচ্ছে।