শুক্রবার , ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

১৯৭১ সালে ৯ ডিসেম্বর অভয়নগরে প্রথম উড়ানো হয় লাল সবুজের পতাকা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০

মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর প্রতিনিধি:

আজ ৯ ডিসেম্বর। অভয়নগর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলাবাসী। আজকের এই দিনে অভয়নগরের পূর্ব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য উঠে। উড়েছিল স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজের পতাকা। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে অভয়নগর উপজেলা হানাদার মুক্ত হওয়ায় ৯ ডিসেম্বরের নামকরণ করা হয় ” অভয়নগর মুক্ত দিবস “। ১৯৭১ সালের পর থেকে প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর অভয়নগর মুক্ত দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। গত মার্চ মাসে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম স ম মোশাররফ হোসেন এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসা অভয়নগরের মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি গ্রুপে দাগ হবে পর্যায়ক্রমে নড়াইল জেলার খড়লিয়া গ্রামে শ্যাম দারোগার বাড়িতে আশ্রয় নেই।

 

সেখান থেকে গোপনে নিজ নিজ গ্রামে গিয়ে গেরিলা প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয় মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়। নড়াইল জেলার খড়লিয়া গ্রাম থেকে উৎখাত করতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জোরালো আক্রমণ চালায়। অভয়নগর, ফুলতলা, কালিয়া ও নড়াইল চার এলাকা থেকে গড়ে গেরিলা আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রতিরোধ করেন। ৬ ডিসেম্বর যশোর শহর ও ক্যান্টনমেন্ট হানাদার মুক্ত হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর ভোরে পাকবাহিনীর চলে আসে অভয়নগরে। তালা উপজেলার যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন তিনটি জুট মিল দখল করে। সেখানে ক্যাম্প গেঁড়ে শুরু করে বর্বর নির্যাতন। একপর্যায়ে নওয়াপাড়া রেলস্টেশন এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ জনগণের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহগুলো রেলস্টেশনের পাশে একটি গর্তে ফেলে গণকবর দেওয়া হয়। আজও গণকবরগুলো স্বাক্ষী হয়ে থাকলেও সকলের অজানা গণকবরের মৃতদেহের সংখ্যা। পরবর্তীতে নওয়াপাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে গণকবর সংরক্ষণ করা হয় এবং কবরের সাথে নির্মাণ করা হয় লাল রঙের একটি স্মৃতিসৌধ। তিনি আরও বলেন, ৮ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও হানাদার বাহিনী রাজঘাটের শেষ সীমানার মধ্যবর্তী স্থানে সম্মুখ যুদ্ধে অবর্তীর্ণ হয়।

 

এসময় মেজর জলিলের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী টেকা নদী পার হয়ে অভয়নগরে প্রবেশ করেন এবং যৌথভাবে আক্রমণ করলে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। একপর্যায়ে পালিয়ে যায় শিরোমণি ও ফুলতলা এলাকায়। ৯ ডিসেম্বর অভয়নগর থানা শত্রু মুক্ত হয়। অভয়নগরের হাজার হাজার মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে জয় বাংলা শ্লোগানে প্রকম্পিত হতে থাকে রাজপথ। ৯ ডিসেম্বর অভয়নগরের মাটিতে প্রথম উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি অভয়নগর সহ সারা বাংলাদেশের শহীদদের, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও নেতৃত্ব দেওয়া সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।