শুক্রবার , ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

তীব্র শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কিশোরগঞ্জের মানুষ

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

মো. স্বপন হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

তীব্র ঠাণ্ডার সঙ্গে হিমেল বাতাসের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কিশোরগঞ্জে কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। ঘন কুয়াশায় বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। ফলে দিনে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। জেলার হাওর ও চরাঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানকার বাসিন্দারা শীতের প্রকোপে আগুন জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। নদ-নদীর অববাহিকায় ঘন কুয়াশাসহ শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে ডায়রিয়া রোগের শঙ্কায় ভুগছেন তারা। বিশেষ করে শিশুরা অত্যাধিক ঠাণ্ডার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় উপজেলার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিশোরগঞ্জের নিম্ন ও মধ্য আয়ের সাধারণ মানুষ ঠাণ্ডার হাত থেকে একটু স্বস্তি পেতে ছুটছেন গরম কাপড়ের দোকানে। বেশ জমে উঠেছে গরম কাপড়ের কেনাবেচা। অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় হাওর ও চরাঞ্চলের শীত একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছে।

 

জেলার সর্বত্র গত দুদিন থেকেই হঠাৎ করেই তীব্র কুয়াশা পড়তে শুরু করে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। গুগল সূত্রে জানা গেছে, তাপমাত্রা দিনের বেলাতেই ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় মানুষ চরম বিপাকে পড়ে। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা হঠাৎ শুরু হওয়া এ শীতে জেলার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, হোসেনপুর উপজেলা, পাকুন্দিয়া উপজেলা, কটিয়াদি উপজেলা, করিমগঞ্জ উপজেলা, তাড়াইল উপজেলা, কুলিয়ারচর উপজেলা, বাজিতপুর উপজেলা, ভৈরব উপজেলা, নিকলী উপজেলা, ইটনা উপজেলা, মিঠামইন উপজেলা ও অষ্টগ্রাম উপজেলা সহ হাওর ও চরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগের কবলে পড়েন। শীতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এতে কষ্ট পাচ্ছেন বেশি। জেলার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এ সুযোগে গাউন মার্কেট ও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়ীরা কাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছেন।

 

ফলে অর্থাভাবে দরিদ্র মানুষদের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোশক বানানোরও হিড়িক পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে অনেকে দিনে গাড়ির হেডলাইড জ্বালিয়ে চলাচল করছেন। ফলে চরাঞ্চলের মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়েন। ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় সরিষা গাছের ফুল ঝরে পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রবীণ নারী-পুরুষ ও শিশুরা পড়েছে চরম বেকায়দায়। তারা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে রাতে ঘরের মেঝেতে খড় বিছিয়ে ও গায়ে চাদর জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।