রবিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ডিমলা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন  ব্যাংকে ঋণ প্রদানে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০
এস.কে হিমেল,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন  ব্যাংকে ঋণ প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি এবং ঘুষ নেওয়ার  অভিযোগ  উর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা পংকজ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি আর ঋণ প্রদানে হয়রানিতে অতিষ্ঠ উপজেলার একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, যথাযথ জমির কাগজপত্র সঠিক  থাকার পরও ঋণ দেয়ার একাধিক নজির ও  ঘুষ না দেওয়ায় বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ঋণ পাচ্ছেন না প্রকৃত ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও ভূয়া জমি ও খাজনা-খারিজের জাল কাগজপত্র সরদার হাট  গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আমিনুর রহমান  ও উত্তর তিতপাড়া  গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে  লোন প্রদান করে আসছেন বলে স্বীকার করেন উর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা পংকজ কুমার সরকার।
 এছাড়াও গ্রাহক মফিজার রহমান বলেন, আমি পূর্বে দুইবার ঋণ গ্রহণ করি ও পরে আরোও আমার টাকার প্রয়োজন হলে ব্যাংকে আবেদন করি যা বৈধ কাগজ পত্র থাকার পরও বিগত ০২ বছর ধরে চেষ্টা করেও ঋণ পাইনি।  অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীরা বলেন, ডিমলা উপজেলার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন  ব্যাংকের উর্ধ্বতন মুখ্য কর্মকর্তা পংকজ কুমার সরকার এই শাখায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই অনেক  অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেন। বৈধ কাগজপত্র থাকলেও ঘুষ না দিলে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে অগ্রীম ব্যাংকের চেক নিয়ে  মামলার হুমকি প্রদান  এবং দীর্ঘদিন যাবৎ এ ব্যবসা চালিয়ে আসেন তিনি।
অভিযোগকারী শাহাজাদী বেগম বলেন, উপযুক্ত দলিল থাকার পরও ঋণ পাইনি বলে, ০৫ লাখ টাকা  ঋণ  গ্রহণ করতে গিয়ে ব্যবস্থাপকের দাবি অনুযায়ী ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
পংকজ কুমার সরকারের সহযোগী  দবির উদ্দীন বিভিন্ন গ্রাহককে ব্যবস্থাপকের কাছে নিয়ে গিয়ে বিভিন্নভাবে ঘুষ আদায় করে চলেছেন দুজনে।  পরে দুজনের মধ্যে লেনদেন নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হলে সত্য কথা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেন তিনি।
এই বিষয়ে নীলফামারী রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন  ব্যাংকের জোনাল ব্যবস্থাপক মোঃ আজিজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আসলে আমার কাছে এই বিষয়ে কোন ভুক্তভুগী বা কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।
 তাঁর কাছে আবারও অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি সরাসরি ডিমলা রাকাবের কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে কাজটি করা ঠিক হয়নি বলে জানিয়ে দেন এবং তিনি নিজে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। তিনি এ ধরণের কাজে  জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জোনাল ব্যবস্থাপক ।
CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।