স্টাফ রির্পোটারঃ
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ইউনিয়নে মধ্যম নাপিত খালী এলাকায় সোলেমান ড্রাইভার নামের এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন ঘরের ছাঁদ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন বিভাগের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ পূর্বক দুই নারীকে বেধড়ক মারধরও করেছে বন বিভাগ । তারা বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুর রহমান নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে টেনে হেঁচড়ে তুলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।সে একই এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে। গতকাল ৫ ডিসেম্বর বিকাল ২ টার সময় এ ঘটনাটি ঘটে ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিত খালী বিট এলাকার মধ্যম নাপিত খালী মৃত আবু শামার ছেলে সোলেমান প্রকাশ সোলেমান ড্রাইভারের বাড়ীর উঠানে। আহত হলো সোলেমানের স্ত্রী দিলদার বেগম, নুরুচ্ছফার স্ত্রী সেলিনা আক্তার। তাদের মধ্যে দিলদার বেগমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে ।
বাড়ির মালিক সোলেমান ড্রাইভার জানান,` বিগত ৬/৭ মাস আগে তাদের ৫০ বছরের পুরোনো বসতবাড়ি ভিটেতে একটি সেমি পাকা ঘর তৈরী করতে চাইলে নাপিত খালী বিটের বিট কর্মকর্তা বাধা প্রদান করে। পরে টাকা দিয়ে ঘর তৈরীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করি। ইত্যবসরে বাড়ির ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করলে পূনরায় স্থানীয় হেডম্যানের মাধ্যমে বিটে দেখা করতে বলে, নয়তো টাকা পাঠাতে বলে৷ দুঃখে কষ্টে জমানো টাকা দিয়ে ঘর তৈরী করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার। সেখানে বিট অফিসারকে টাকা কি ভাবে দেবো এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। টাকা না দেওয়ায় ঘটনার দিন নাপিত খালী বিট কর্মকর্তা মখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে ফুলছড়ি,খুটাখালী, মালুমঘাট বিটের লোকজন এনে ভাংচুর চালায়। এ সময় বাধা দিতে চাইলে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পেলে দেয় স্থানীয়দের। এ বিষয়ে নাপিত খালী বিট কর্মকর্তা মখলেছুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেনি৷ তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। ফুলছড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পারিবারিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছুটিতে গেছেন বলে জানিয়ে বলেন, সোলেমান ড্রাইভারের নির্মাণাধীন ঘর তৈরী নিয়ে ডিএফও স্যার অবগত করছিল। কর্মস্থলে না থাকায় কি হয়েছিল তা জানাতে পারছে না।
CBALO/আপন ইসলাম