শুক্রবার , ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মধুপুরে বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০
সাইফুল ইসলাম, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ 
টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাহাড়িয়া অঞ্চলে কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার প্রভৃতি দ্বারা এসব বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও অনেক দরিদ্র কৃষকরা তাদের স্বল্প পরিসরের ভূমিতে কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে ইরি-বোরো ধানের বীজতলাও তৈরি করছেন।
মধুপুরের বিভিন্ন অঞ্চল সারেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, “মধুপুরের কৃষকরা ভূমির আইল বাধা, জমির আগাছা পরিষ্কার করা, কোদাল দিয়ে জমির উঁচু-নিচু জায়গাগুলো সমান করা, শুকনো জমিতে সেচ প্রদান করাসহ প্রভৃতি কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।”
মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে, দোকানপাটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বোরো-ইরি ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা এসব বীজ ক্রয় করার জন্য দোকানগুলোতে অত্যধিক পরিমাণে ভীড় জমাচ্ছেন।
মধুপুরের হাট-বাজারের কয়েকজন দোকানদাররা জানান, “বোরো মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ধানের বীজগুলো প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও হাইব্রিড জাতের ধানের বীজগুলোও সংগ্রহ করছেন কৃষকরা।”
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ টাঙ্গাইলেও কয়েক দফায় বন্যার হানা দেখা দিয়েছে। এতে আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টাঙ্গাইলের ১২ টি উপজেলার মধ্যে মধুপুর উপজেলা ব্যতীত অন্যান্য উপজেলাগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অত্যধিক। সৌভাগ্যবশত, টাঙ্গাইলের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় মধুপুর উপজেলাতে বন্যায় কৃষকদের ফসলি জমির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ফলে মধুপুরের কৃষকরা তাদের জমির আবাদকৃত ফসলি আমন ধানগুলোতে ভালো ফলন পেয়েছেন।
মধুপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, “আমন ধানগুলো সফলভাবে ঘরে তুলতে পেরেছি। এখন বোরো বীজতলা তৈরি করছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। আমনের তুলনায় বোরো ধানের ফলন অনেক বেশী হয়ে থাকে। আমরা আশাবাদী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পেলে আমরা এবারো সফল হতে পারবো এবং অনেক ফলন পাবো।”
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “আসন্ন মধুপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬২২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্লক পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদেরকে আদর্শ বীজতলা তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি শীতকালীন শৈত্যপ্রবাহ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কৃষকদেরকে উৎসাহিত করে যাচ্ছি।”
উল্লেখ্য যে, মধুপুরে এবারের আমন মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন কৃষকরা।
CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।