সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

অসময়ে যমুনায় ভাঙন ; চৌহালীতে হুমকির মুখে পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

রানা আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চর সলিমাবাদ গ্রামের পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অসময়ে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের তান্ডবে বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। স্কুলটি রক্ষায় ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত বালুর বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তা না হলে যে কোন মূহুর্তে স্কুলটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে ওই স্কুলে পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক জাহাঙ্গীর ফকির, মজিবর রহমান, বাবুল আক্তার ও নেক মোহাম্মদ জানান, এ এলাকার মানুষ নদী ভাঙ্গণে নিঃস্ব অসহায় ও হতদরিদ্র। তাদের পক্ষে পয়সা খরচ করে দূরের স্কুলে ছেলে মেয়েদের পড়া-লেখা করানোর সামর্থ নেই। এ স্কুলটি ভেঙ্গে গেলে তাদের ছেলে মেয়েদের পড়া-লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এ কারণে স্কুলটি ভাঙ্গণ থেকে রক্ষা করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন জানান, এ বিদ্যালয়টিতে ৪টি গ্রামের নদী ভাঙন কবলিত হতদরিদ্র পরিবারের ১০৯ জন ছেলে মেয়েরা পড়া-লেখা করে। আশেপাশে আর কোন স্কুল নাই। তাই এ স্কুলটি তাদেও একমাত্র ভরসা। এটি ভেঙ্গে গেলে পয়সা খরচ করে দূরের স্কুলে গিয়ে এদের পড়া-লেখা করার মত সামর্থ নেই। ফলে অর্থাভাবে এদের অনেকেরই পড়া-লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এদের মানবিক বিষয় বিবেচনা করে স্কুলটি রক্ষা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। স্কুলটির সামনের ভাঙন কবলিত স্থানে কিছু বালুর বস্তা ফেলে ডাম্পিং করা হলে এ বছর স্কুলটি রক্ষা করা সম্ভব হবে। বিষয়টি চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় যে কোন মূহুর্তে স্কুলটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী বলেন, এ বিদ্যালয়সহ চৌহালী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম যমুনা নদী ভাঙনের মুখে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। অথচ এ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। ফলে এ স্কুলসহ শত শত ঘরবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, বিষয়টি আমি চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে টাঙ্গাইল পানিউন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তারা এখনও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্কুল ঘরটি ওই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে আপাতত নিরাপদ স্থানে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে জমি পেয়ে সেখানে ঘরটি তুলে স্কুলের কার্যক্রম চালানো হবে। এ সময় পর্যন্ত একটি মালিকানাধিন জায়গায় স্কুলের কার্যক্রম চালানো হবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, চৌহালীর ভাঙন রোধে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। তারা এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা তারাই ভাল বরতে পারবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধে অচিরেই ওই এলাকায় জিওটেক্স বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া ওই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই ওই এলাকায় স্থায়ী বাধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।