রবিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শিশুর যৌনাঙ্গে ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন, মামী গ্রেফতার

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০

রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় এলমা আক্তার নামে ৪ বছর ৯ মাস বয়সী এক শিশুর যৌনাঙ্গে গরম স্টিলের চামচের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রাম থেকে গৌরনদী থানা পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় শিশুটির মামি অভিযুক্ত শাহনাজ বেগমকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে রাত ৯ টার দিকে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এলমা আক্তার উপজেলার গোবরধন এলাকার শফিকুল ইসলাম ও আখি বেগম দম্পতির সন্তান।

পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত শাহনাজ বেগম উপজেলার উত্তর বিজয়পুর এলাকার রমজান সরদারের স্ত্রী ও নির্যাতিতা শিশুর মামী।
শিশু এলমার বাবা আক্তার শফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭ বছর আগে তার সঙ্গে আখি বেগমের বিয়ে হয়। এর প্রায় দুই বছর পর লামিয়ার জন্ম হয়। এর বছর খানেক পর বিভিন্ন কারনে স্ত্রী আখি বেগমের সঙ্গে তার কলোহ সৃস্টি হয়। তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ছাড়াছাড়ি না হলেও লামিয়াকে নিয়ে স্ত্রী আখি বেগম তার ভাই রমজান সরদারের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। রমজান সরদার ও শাহনাজ দম্পতির কোন সন্তান নেই। প্রথম দিকে তারা লামিয়াকে আদর যত্ন করতেন। বছরখানেক আগে রমজান সরদার ও শাহনাজ দম্পতি আরাফাত নামে এক শিশুকে দত্তক নেন।

 

এরপর থেকেই কারণে-অকারণে লামিয়াকে শাহনাজ বেগম মারধর করতেন। গত ২১ নভেম্বর বিকেলে লামিয়া আরাফাতকে নিয়ে পাশের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লামিয়াকে ধরে বাসায় নিয়ে মারধর করেন শাহনাজ বেগম। একপর্যায়ে গ্যাসের চুলায় স্টিলের চামচ গরম করে এলমার যৌনাঙ্গে ছ্যাঁকা দেন শাহনাজ বেগম। এলমার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা আসলে তাদের বাসায় ঢুকতে না দিয়ে চলে যেতে বলেন শাহনাজ বেগম। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে ২১ নভেম্বর রাতেই এলমাকে নিয়ে শাহনাজ বেগম তার বাবার বাড়ি নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামে চলে যান।

শফিকুল ইসলাম বলেন, শাহনাজ বেগম ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করেছেন। অন্যদিকে আমার স্ত্রী আখি বেগম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ঘটনার সময় স্ত্রী আখি বেগম অন্য কক্ষে ছিল। তবে সে ওই বাড়ির আশ্রিতা হওয়ায় লামিয়াকে নির্যাতনের পর প্রতিবাদ করতে বা কাউকে জানাতে সাহস পায়নি। বুধবার রাতে শাহনাজ বেগমের এক প্রতিবেশী বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এরপর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। পরে পুলিশের সহায়তায় শাহনাজ বেগমের বাবার বাড়ি থেকে এলমাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর নির্যাতনের এসব কথা লামিয়া আমাকে ও পুলিশকে জানায়।

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশের একটি দল শাহনাজ বেগমের বাবার বাড়িতে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে শিশু এলমাকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি শিশুটির মামী অভিযুক্ত শাহনাজ বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশু এলমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।