শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

অবৈধ বাঁধে কচুরিপানা আটকে নলডাঙ্গায় বোরো ও রবিশস্য চাষে বিপাকে হাজারো কৃষক

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০

নলডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধিঃ

কচুরিপানায় ভরে যাওয়ায় নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের শত শত বিঘা জমির বোরো ধান ও রবিশস্য চাষ নিয়ে শঙ্কায় পরেছে কয়েক হাজার কৃষক।হালতি বিলে বিভিন্ন স্থানে বিশাল এলাকাজুড়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মাছ শিকারের অবৈধ বাঁধ থাকায় বন্যার পানির সাথে ভেসে আসা এসব কচুরিপানা আটকে ৩ হাজার কৃষকের শত শত বিঘা জমি চাষের অনুযোগি হয়ে পড়ছে।এসব কচুরিপানা জমি থেকে সরাতে নিজ উদ্দ্যেগে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। বিলে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের আবৈধভাবে মাছ শিকারের বাঁধ অপসারণ করে দ্রুত কচুরিপানা বের করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগি হাজারো কৃষক।

 

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,দুই দফা বন্যায় এবার নলডাঙ্গা উপজেলায় কৃষিতে ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারো স্বপ্ন দেখছে ক্ষতিগ্রস্ত হালতি বিলের কৃষকরা।কিন্ত বোরো ও তিন ফসলি জমিতে বন্যার পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানা আটকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে তারা (কৃষকরা)।হালতি বিলের মাধনগর বাজে হালতি,সোনাপাতিল দুটি স্থানে ও মাধনগর, বাঁশিলা, খাজুরা,পাটুল এলাকায় প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মাছ শিকারের অবৈধ বাঁধ থাকায় এসব কচুরিপানা আটকে ৫ হাজার কৃষকের শত শত বিঘা জমি চাষের অনুযোগি হওয়ার দুচিন্তায় পড়েছে।কৃষকরা এসব কচুরিপানা জমি থেকে সরাতে মাইকিং করে নিজ উদ্দ্যেগে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

সোনাপাতিল গ্রামের কৃষক সাইদুল,ফজলু,ফারুক অভিযোগ করে বলেন,এই মাছ শিকারের অবৈধ বাঁধের কারণে কচুরিপানা আটকে পাঁচশত বিঘা ফসলি জমি অনাবাদী হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক মকসেদ বলেন,এই মাছ শিকারের বাঁধের কারনে জমিতে কচুরিপানা আটকে যাওয়ায় জমিতে সময়মত চাষাবাদ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে দুচিন্তার শেষ নাই। বিলে অবৈধভাবে রাজনৈতিক নেতাদের মাছ শিকারের অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে দ্রুত কচুরিপানা বের করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, হালতি বিলে ২৫ হেক্টর চাষযোগ্য জমিতে কচুরিপানা আটকে গেছে।

 

উপজেলা মৎস্য কর্মকতার্ সঞ্জয় কুমার জানান,পানি প্রবাহ বন্ধ করে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকারকারীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।হালতি বিলে অভিযান চালিয়ে অবৈধ শিকারের বাঁধ অপসারণ করা হবে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,কৃষকদের অভিযোগে এর আগে পানি প্রবাহ বন্ধ করে অবৈধ ১৫-২০টি সৌতিজাল বসিয়ে মাছ শিকারীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।