সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তাড়াশে ঐতিহাসিক নওগাঁ দিবস পালিত

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০

প্রদীপ কর্মকার স্টাফ রিপোর্টার:

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঐতিহাসিক নওগাঁ যুদ্ধ দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি খলিলুর রহমানে সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সহকারী পরিচালক অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, সর্বাধিনায়ক গাজী সোহরাব আলী সরকার, তাড়াশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গাজী আরশেদুল ইসলাম, ডেপুটি কমান্ডার গাজী সাইদুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারন সম্পাদক জর্জিয়াস মিলন রুবেলসহ মুক্তিযোদ্ধারা। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধে উত্তরবঙ্গের বেসরকারি সাব-সেক্টর কমান্ড পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।

পরে ৭১ এর ১০ নভেম্বর বুধবার রাতে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুল লতিফ মির্জার নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা বিশ্রামের জন্য সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পরদিন ১১ নভেম্বর বৃস্পতিবার ভোরে পাক বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধে গড়ে তুললে শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধ।

ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে বিকেল তিনটা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধে প্রায় আড়ইশ’ পাকসেনা ও দেড়শতাধিক রাজাকার নিহত হয়। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় পাক সেনারা। এ সময় একজন ক্যাপ্টেনসহ ৮ জন পাকিস্থানি সেনা সদস্য অস্ত্রসহ ধরা পড়ে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। তবে পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের যোদ্ধাদের প্রাণপন লড়াই ও কৌশলে পাক সেনারা পরাযস্থ হলেও দু’জন মুক্তিযোদ্ধা সামান্য আহত হওয়া ছাড়া তাদের আর কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নওগাঁ যুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানিদের পরাজয়ের পটভূমি রচিত হয়।

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।