শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

হাসপাতালে ভর্তি এএসপিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০

মানসিক সমস্যায় ভুগে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার সকালে হাসপাতালে ভর্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ ছয়জনকে আটক করেছে।

পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করলে তাঁরা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল করিম জানান, আনিসুল পারিবারিক ঝামেলার কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন। ওই সময় কাউন্টার থেকে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী তাঁকে দোতলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা জানান যে আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। তাঁকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগজনিত সমস্যা থাকলেও তা তেমন প্রকট ছিল না। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিটুনিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’

এদিকে ওই হাসপাতাল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা যাচাই করেছে পুলিশ। ওই ফুটেজের বর্ণনা দিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে টানাহেঁচড়া করে হাসপাতালটির একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। এ সময় হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে তাঁকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। তখন নীল পোশাক পরা আরো দুজন কর্মচারী তাঁর পা চেপে ধরেন। আর মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারীকে হাতের কনুই দিয়ে তাঁকে আঘাত করতে দেখা যায়। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা ছিল। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয় তখনই তাঁর শরীর নিস্তেজ ছিল। একজন কর্মচারী তখন তাঁর মুখে পানি ছিটালেও আনিসুল নড়াচড়া করছিলেন না। তখন কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রন পরা এক নারী কক্ষটিতে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষটির দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তাঁর বুকে পাম্প করেন সাদা অ্যাপ্রন পরা ওই নারী।

শেরেবাংলানগর থানার ওসি জানে আলম মিয়া বলেন, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। আনিসুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। হাসপাতালের সমন্বয়ক ইমরান খান জানান, জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট থেকে আনিসুল হককে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ভর্তির পরপরই তিনি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছিলেন। মারধর করছিলেন যাকে-তাকে। শান্ত করার জন্য তাঁকে একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের বিষয়ে জানতে জাইলে তিনি বলেন, ওই সময় তিনি হাসপাতালে ছিলেন না।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।