রবিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

হেমনগর ডিগ্রী কলেজ তদন্তে প্রমানিত জাল সনদধারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
প্রশাসনিক তদন্তে জাল সনদের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বগুডার নেকটার কতৃপক্ষ গত বৃহসপতিবার এক পত্রে জাল সনদের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি এবং গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

 

হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কলেজ গভর্নিংবডির সদস্য রওশন খান আইয়ুব জানান, ঘাটাইল উপজেলা কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার বিষয়ে সনদ নিয়ে (নং ২৮৯১, রেজি-২৯৩৭) ২০০৫ সালে প্রভাষক পদে যোগ দেন খাদেমুল ইসলাম। কিন্তু এর আগেই জাল সনদ সরবরাহের অভিযোগে বগুডার নট্রামস ঘাটাইল শাখা বাতিল করেন। আর বাতিল শাখার সনদ দিয়ে কৌশলে চাকরি নিয়ে এমপিও করান তিনি। গভর্নিং বডির অপর সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, কয়েকটি শূণ্য পদে নিয়োগে কোটি টাকা বানিজ্যের জন্য একজন সাবেক এমপির যোজসাজশে উপাধ্যক্ষ নুরুল ইসলামসহ ১২ সিনিয়রকে পাশ কাটিয়ে জুনিয়র লেকচারার খাদেমুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হলে জাল সনদের বিষয়টি নজরে আসে।

 

গভর্নিং বডির অপর সদস্য এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানান, সকল সিনিয়রকে পাশ কাটিয়ে এমন মোস্ট জুনিয়রকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে যার সনদ পর্যন্ত জাল। তিনি প্রতিকার দাবি করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলাম জানান, তিনি জাল সনদে চাকরি নেননি। প্রথম সনদটি বগুডা নট্রামসের আওতাধীন ঘাটাইল শাখা থেকে নেয়া। সেটি সন্দেহ যুক্ত হওয়ায় পরে ২০০১ সালে বগুড়ার মিনা বহুভাষী এন্ড কম্পিউটার প্রশিক্ষণ একাডেমি থেকে নট্রামসের প্রকৃত সনদ সংগ্রহ করে চাকরি নেন। সনদ জালের অভিযোগটি ডাহা মিথ্যা। তাকে হেয় করার জন্য প্রপাগান্ডা হচ্ছে। হেমনগর কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি এবং গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান,অভিযোগ অনুসন্ধানে ওই শিক্ষককে অফিসে তলব করলে তিনি বগুডার মিনা বহুভাষী এন্ড কম্পিউটার প্রশিক্ষণ একাডেমির অপর একটি সনদ উপস্থাপন করেন। একই ব্যক্তির দুই রকম দুটি পৃথক সনদ দেখে বিভ্রান্তি নিরসনে যাচাইবাছাইয়ের জন্য তিনি গত ৬ অক্টোবর বগুডার নেকটার পরিচালক দপ্তরে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার নেকটারের যাচাইবাছাই প্রতিবেদন এসেছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, প্রথম সনদটি জাল।

 

আর দ্বিতীয় সনদটি ও নেকটার বা নট্রামস সরবরাহ করেনি; করেছে মিনা বহুভাষী এন্ড কম্পিউটার প্রশিক্ষণ একাডেমী। এটির দায় এখন তাদের বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে ভিন্ন সুত্রে পাওয়া মিনা মাল্টিমিডিয়ার এক পৃথক প্রত্যয়ন পত্রে দ্বিতীয় সনদটি ও জাল বলে উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং জালসনদধারি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ জানানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে হেমনগরবাসি ব্যানারে গত শনিবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জালসনদধারি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক খাদেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত নেয়ার দাবি জানানো হয়।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।