শনিবার , ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৮শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চলনবিলে বিনাচাষে রসুন লাগাতে ব্যস্ত চাষীরা

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ: 
শস্য ভান্ডারখ্যাত দেশের বৃহত্তর চলনবিল। আর এ বিল জুড়ে পানি নামার সাথে সাথে এ বছর শুরু হয়েছে বিনাচাষে রসুনের আবাদ। রসুনের বীজ রোপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে নারী-পুরুষ, কিশোর ও কিশোরীরা। সাধারনত বিলের পানি কার্তিকের শুরুতেই নদীতে নেমে যায় কিন্তু এবছর বর্ষার পানি নামতে দেরি হওয়ায় মাসের শেষে বিলের পলিমাটি শুকিয়ে ওঠছে। এখন কৃষক কোন রকম হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপন করছেন।

জানা যায়, এ বছর চলনবিলের পাবনার চাটমোহর, ভাংগুড়া, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দফায় বর্ষায় কৃষি জমিগুলোতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে পড়ে, এ জন্য বিলে পানি নামার সাথে সাথে ফাকা জমিতে বিনাচাষে রসুন রোপনের ধুম পড়েছে চলনবিল এলাকার উপজেলাগুলোতে। এ সকল উপজেলার সর্বোচ্চ অর্থকরী ফসল বিনাচাষে রসুনের বাম্পার ফলনের কারণে প্রতি মৌসুমে এলাকার কৃষকরা বিনাচাষে রসুনের রোপন করেন।

চাটমোহর উপজেলার চিনাভাতকুর, চরনবীন, ছাইকোলা, লাংগলমোড়া, বরদানগর, বিন্নাবাড়ী, ধানকুনিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চলনবিলের পানি নামার সাথে সাথে কৃষকের মাঝে চলছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা এবং বিলের যেদিকে চোখ মেলা যাবে সেদিকেই দেখা যাবে নারী-পুরুষ ও পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে বসে রসুনের কোয়া রোপন করছেন। চলনবিলে এখন চলছে রসুন রোপনের ভরা মৌসুম।

চাটমোহর উপজেলার চিনাভাতুকর গ্রামের কৃষক আজির উদ্দিন জানান, প্রতিবছরের মতো এবারো ৩ বিঘা জমিতে রসুন লাগাচ্ছেন, এরমধ্য বিনাচাষে ২ বিঘা জমিতে রসুন লাগানো হয়েছে। একই গ্রামের কৃষক আজমত আলী ও আল মামুন বিনা চাষে ২ বিঘা জমিতে রসুন লাগিয়েছেন বলে জানান।

বিনাচাষে উৎপাদন পদ্ধতিঃ
কার্তিক মাসের শেষে বিল থেকে পানি নেমে গেলে পলি জমা কাদা মাটিতে বিনা হালে সারিবদ্ধভাবে রসুনের কোয়া রোপন করা হয়। রোপন শেষে ধানের নাড়া(খড়) বিছিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে জমিতে প্রতি বিঘা ২৫/৩০ কেজি টিএসপি, ২৫ কেজি পটাশ, ২০ কেজি জিপশাম ও ২ কেজি বোরন সার প্রয়োগ করা হয়। রোপনের ২৫/৩০ দিন পর বিঘা প্রতি ১৫/২০ কেজি ইউরিয়া সার দিয়ে পানি সেচ দেওয়া হয়। ৫০ দিন পর আবার দ্বিতীয় দফা ১২/১৫ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হয়। রোপনের ৯৫/১০০ দিন পর রসুন উত্তোলনের করা যায়।

 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ এ মাসুমবিল্লাহ জানান, চাটমোহর এলাকায় বর্ষার পানি নামার সাথে সাথে কাদা মাটিতে কৃষক বিনাচাষে রসুন আবাদে লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর রসুন আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ বছর পাবনার চাটমোহর উপজেলায় প্রায় ৬১০০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্য বিনাচাষে ১৫৬০ হেক্টর জমিতে রসুন লাগানো হয়েছে। এছাড়া বীজ রোপনের মাধ্যমে ১৯০ হেক্টর লাগানো হচ্ছে।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।