সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সলঙ্গার চৈত্রহাটি মন্দির সহ মুরারীদের খোঁজ খবর নিতে এনজিও সংস্থার ৪ টি টিম

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০

সলঙ্গা প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রাচীনতম চৈত্রহাটি শ্রী শ্রী জগদিশ্বরী কালি মাতা মন্দিরে ৪ টি এনজিও সংস্থার টিম ২ দিন ধরে এলাকায় অবস্থান করেন। অবস্থান কালে চৈত্রহাটি জগদ্বিশ্বরী মাতা মন্দিরের লাজুক অবস্থা ও মন্দির এলাকায় বসবাসরত নির্যাতিত,অবহেলিত মুরারী পরিবারের খোঁজ খবর জানতে মুরারী পরিবার,এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ, মন্দির কমিটির লোকজন,প্রশাসন সহ স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ঢাকা থেকে ৪ টি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি দল সহ ২ টি আদিবাসী সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকর্তারাও সাথে ছিলেন । পরিদর্শনকারী এনজিও টিম মন্দিরের বেহাত হয়ে যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে সহযোগীতার আশ্বাস দেন । গত ৩০ সেপ্টেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অস্তিত্ব সংকটে প্রাচীন চৈত্রহাটি মন্দির’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন সহ বেশ কিছু অন লাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এসব এনজিও কর্মকর্তাবৃন্দ চৈত্রহাটিতে আসেন বলে জানান, টিম লিডার রুলি ইসলাম।

 

বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেনন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর প্রোগ্রাম অফিসার রুলি ইসলাম, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল লইয়ার এসোসিয়েশন ( বেলা) এর রাজশাহী সমন্বয়ক তন্ময় কুমার স্যানাল, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর স্টাফ লইয়ার সরকার হুমায়ন কবীর (রিংকু), নিজেরা করি এর কর্মসুচী সংগঠক মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এর ধঞ্চয় চাকমা ও বাংলাদেশ আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র। এসব এনজিও ও সংগঠনের কর্মকর্তারা গত রবিবার (১নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় মন্দির অঙ্গনে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় আদিবাসী নারী-পুরুষের সঙ্গে জগদিশ্বরী মাতা মন্দিরের বর্তমান অবস্থা, এলাকার ভুমিগ্রাসী বাহিনীদের হাতে ৩৫ টি পরিবারের ৩৫০ জন মুরারীর নির্যাতন, মন্দিরের নিরাপত্তাহীনতা এবং মন্দিরের বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ও ৩ টি পুকুর জোর পুর্বক দখলের বিষয়ে কথা বলেন। তারা। আদিবাসীদের কাছে সংরক্ষিত মন্দিরের জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন।

 

আদিবাসীদের পক্ষে শবিতা রানী মুরারী, সানজিদা মুরারী, মহারানী মুরারী, করুণা মুরারী,হরিপদ মুরারী,মোংলা চরণ মুরারী এবং হৃদয় মুরারী তাদের সকল সমস্যার বিষদ বিবরণ দেন। এনজিও কর্মকর্তাদের কাছে। এসব কর্মকর্তা গতকাল সোমবার ( ২ নভেম্বর) বিকেলে উল্লাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হাসান খানের সঙ্গেও মন্দিরের সম্পত্তির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করেন। কর্মকর্তারা মন্দিরের শতাধিক বিঘা জমি ও পুকুর খাস খতিয়ানে যাওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।