রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হাত ও মুখ বেঁধে গ্যাসের আগুনের লোহার কুন্তি গরম করে ছ্যাঁকা দিয়ে স্ত্রী’র উপর নির্যাতন চালিয়ে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। আহত ওই গৃহবধুকে চিকিৎিসা না দিয়ে ঘরে আটকে রাখার খবরে বাবার বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের সদানন্দ বালার ছেলে বিপুল বালার সাথে দুই বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী বাহাদুপুর গ্রামের সদানন্দ সরকারের মেয়ে সমাপ্তি সরকারের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।
দাম্পত্য জীবনে তাদের এক বছরে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বিপুল ও তার পরিবারের লোকজন সমাপ্তির সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়ে আসছিলো।
ওই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে স্বামী বিপুল বালা, তার ভাইয়ের স্ত্রী ববিতা বালার সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি শুরু করেন। সমাপ্তি স্বামী বিপুলকে ঝগড়ায় বাধা দিলে বিপুল ও তার পরিবারের লোকজন সমাপ্তির হাত ও মুখ বেঁধে মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে তাতে লোহার কুন্তি গরম করে সমাপ্তির দু-হাত ও পিঠে ছ্যাঁকা দেয়াসহ মারধর করে নির্যাতন করেও তাকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। সমাপ্তির বাবার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সমাপ্তির ভাই সুশান্ত সরকার ও স্থানীয় লোকজন সমাপ্তিকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। স্বামীর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় সমাপ্তির বাবার পরিবার থানায় মামলা করারও সাহস পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সমাপ্তির ভাই সুশান্ত সরকার।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে নির্যাতীতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
CBALO/আপন ইসলাম