রবিবার , ৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে অব্যবস্থাপনা, রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি যাত্রীরা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২০ মে, ২০২০
এসএম স্বপন,বেনাপোলঃ
ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের নানা অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। তাদের অব্যবস্থাপনায় করোনার এ ক্লান্তিকালে দেশে ফিরতে অসুস্থরাও রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দু’দিন ধরে ইমিগ্রেশন এলাকায় রাস্তায় দীর্ঘ লাইনে রাত কাটাচ্ছেন।
তাদের মধ্যে মঙ্গলবার (১৯ মে) হঠাৎ সহস্রাধিক যাত্রীকে একসাথে ছাড়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে শারীরিক পরীক্ষা শেষ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে দেশের মাটিতে পা রেখেও বাড়ি ফিরতে পারেননি কেউ।
তবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা রাত জেগে কাজ করছেন দু’দিন ধরে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ছাত্রপত্র দেওয়ার জন্য।
মঙ্গলবার রাতে পেট্রাপোলের এপাড়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটকে থাকা যাত্রীদের সাথে কথা বলে তাদের করুন কষ্টের কথা উঠে আসে।
জানা যায়, ভারতে লকডাউনে আটকা পড়েন বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য যাওয়া কয়েক হাজার বাংলাদেশি। ইচ্ছা থাকলেও লকডাউনে কড়াকড়ির কারণে তারা এতদিন ফিরতে পারেননি। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে চলে আসায় তারা দূর-দূরান্ত থেকে কেউ যানবাহনে আবার কেউ হেঁটে চেকপোস্টে আসেন। কিন্তু ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের কাজের ধীরগতি ও নানান টালবাহনায় এসব যাত্রী দু’দিন ধরে খেয়ে না খেয়ে রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তার ওপর রাত কাটাচ্ছিলেন। হঠাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সব যাত্রীকে এক সাথে ছেড়ে দেয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এতে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় তারা আটকা পড়েছেন।
এদিকে ইমিগ্রেশন ভবনে সংকীর্ণ জায়গায় ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে কোনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। ফলে যাত্রীদের পাশাপাশি বড় ধরনের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছেন ইমিগ্রেশন ভবনের পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রী শেফালী ও জয়ন্তী রানী বলেন, দু’দিন পর বাংলাদেশে ঢুকতে পারলেও বাড়ি ফিরতে পারছি না। ইচ্ছে করেই ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের দাঁড় করিয়ে রাখে। এসময় তারা না খেয়ে রাস্তায় রাত কাটালেও কেউ তাদের খবর নেয়নি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার সুভাশিস জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এসব যাত্রীকে একসাথে ছেড়ে দেওয়ায় ভিড় বেড়ে নানান অসুবিধা হচ্ছে। এত যাত্রীর চাপ, কোনোভাবেই তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শেষ করতে রাত জেগে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব রাত সাড়ে ১১টায় জানান, ফেরত আসা যাত্রীরা আপাতত ইমিগ্রেশন ভবনে অপেক্ষা করছেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে তাদের শারীরিক পরীক্ষা ও পাসপোর্টের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৮০০ যাত্রীর পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকিদের কাজ চলছে। তবে যাদের কাজ শেষ হয়েছে, লকডাউনের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায়, তারা ঘরে ফিরতে পারছেন না।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।