মঙ্গলবার , ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বরগুনায় নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি ; ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২০ মে, ২০২০

বরগুনা প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ছয় থেকে সাত ফুট উচ্চতায় বরগুনার তিনটি নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ছয় থেকে সাত ফুট উচ্চতায় বরগুনার তিনটি নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনার তিনটি প্রধান নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত ৬ থেকে ৭ ফুট পানি বেড়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনার ৬ উপজেলার মধ্যে আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা ও বরগুনার সদরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব অঞ্চল থেকে প্রশাসন ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ঈদগাহ মাঠ–সংলগ্ন বিষখালী নদীর তীরের বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, স্বাভাবিকের তুলনায় নদীতে অনেক পানি বেড়েছে। আর একটু পানি বাড়লেই তাঁর বাড়ি প্লাবিত হবে।

বরগুনার বাইনচটকি ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, বিষখালী নদীর এই এলাকায় জোয়ারের পানি এতটাই বেড়েছে যে ফেরির গ্যাংওয়েসহ সংযোগ সড়ক তলিয়ে গেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬–৭ ফুট বেশি পানি না বাড়লে এমন হয় না এখানে।

বরগুনার তালতলী উপজেলার বগি এলাকার শাহীন বলেন, পায়রা নদীতে বিশাল ঢেউ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে জোয়ারের পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে এই এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে বেশি সময় লাগবে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরগুনা কার্যালয়ের পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বলেন, আজ সকাল নয়টায় বরগুনায় জোয়ারের উচ্চতা ছিল ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। এটি বিপৎসীমার সমান সমান। আর এক ঘণ্টার ব্যবধানে সকাল ১০টায় বরগুনায় জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে ৩.১০ সেন্টিমিটার হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে বরগুনার প্রধান তিনটি নদীতে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬–৭ ফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়েছে। বর্তমানে বরগুনার তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই আমাদের সতর্ক করেছে। বরগুনার প্রধান তিনটি নদীতে জোয়ারের উচ্চতা বাড়ার খবর পেয়েছি। তবে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার খবর পাইনি।’

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।