মোঃ আমিনুল ইসলাম, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন এলাকায় এলজিইডি’র পাকা সড়ক পথ পুকুরে ধ্বসে যাচ্ছে। সরকারি বিধি না মেনে সড়ক ঘেষে ব্যক্তি মালিকানায় পুকুর খননে সড়কের এ ক্ষতি হচ্ছে। সড়কের ক্ষতিতে সুষ্ঠ ও সহজ চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এদিকে সড়ক রক্ষায় গাইড ওয়াল নির্মানে অনেক পুকুর মালিক বাধা দিচ্ছে বলে জানা যায়। উল্লাপাড়া উপজেলায় এলজিইডি থেকে গত ক’বছরে অনেক গুলো গ্রামীন সড়ক পাকাকরণ হয়েছে। নতুন উদ্যোগে আরো কাচা সড়ক পাকাকরণ করা হচ্ছে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে গ্রামীণ কাচা সড়ক গুলো পাকাকরণ করা হবে বলে জানানো হয়।
উল্লাপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে এলজিইডি’র সড়ক ঘেষে বহু সংখ্যক পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে রামকৃষ্ণপুর, সলংগা, পূর্ণিমাগাঁতী, কয়ড়া ইউনিয়ন এলাকায় সড়ক ঘেষে বেশি সংখ্যক পুকুর আছে। সড়ক পথ ঘেষে প্রতি বছরই একের পর এক নতুন পুকুর খনন করা হচ্ছে। সরকারি বিধি বিধান না মেনে ব্যক্তি মালিকানার পুকুরগুলো খনন করা হয়েছে এবং খনন করা হচ্ছে আরো নতুন পুকুর। মাছ চাষে খনন করা প্রায় সবগুলো পুকুরই গভীর করে খনন করা হচ্ছে। পুকুরের চালা বানানো এবং ব্যবহার করা হচ্ছে সরকারি সড়ক পথ।
এলজিইডি সূত্রে ইমারত নির্মান বিধি মালা ১৯৯৬ এর ধারা ২৮ মোতাবেক নিজ ভুমির কমপক্ষে ১০ ফুট অভ্যন্তরে পুকুর বা জলাশয় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সরকারি সড়কের কিনারা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট দুরত্বে (জায়গা রেখে) পুকুর কিংবা জলাশয় খনন করতে হবে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সলংগা ইউনিয়নের গোজা সড়ক, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অলিদহ সড়ক, ধরইল সড়ক ঘেষে বহু সংখ্যক পুকুর রয়েছে। এসব সড়কের অনেক জায়গা পুকুরে ধ্বসে গেছে। ধামাইলকান্দি-সলংগা পাকা সড়ক পথ গত কমাস আগে মেরামত করা হয়েছে। এ সড়কের গোজা এলাকায় সড়ক ঘেষে পুকুর খননে এরই মধ্যে সড়ক ধ্বসে ক্ষতি হয়েছে। অলিদহ এলাকায় বেশ ক’জায়গায় ও ধরইল সড়কের কালিকাপুরে পুকুরে ধ্বসে গেছে সড়কের অংশ।
উপজেলা প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন বলেন, বিধি মোতাবেক সড়কের কিনারা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট জায়গা রেখে তবেই পুকুর খনন করতে হবে। এতে সড়কের স্থায়িত্ব ও গুনগত মান বজায় থাকে। সেখানে পুকুর গুলো সড়ক ঘেষে কাটা এবং চালা হিসেবে সরকারি সড়ক পথ ব্যবহার করায় ক্ষতি হচ্ছে সড়ক পথের। সেখানে সড়ক টিকছে না। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত ও রক্ষায় গাইড ওয়াল নির্মানে সরকারি বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অনেক জায়গায় গাইড ওয়াল নির্মান করতে গেলে পুকুর মালিকেরা বাধা দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
CBALO/আপন ইসলাম