শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আমিরাতের ‘মন্ত্রী’র বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক শীর্ষ রাজপরিবারের সদস্যের (সহিষ্ণুতাবিষয়ক মন্ত্রী) বিরুদ্ধে সাহিত্য উৎসবের কর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত সাহিত্য ও শিল্প উৎসব ‘হে ফেস্টিভ্যাল’। এই ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক লঙ্ঘন’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ‘হে ফেস্টিভ্যাল’র পক্ষ থেকে। হে উৎসবের সভাপতি, ক্যারোলাইন মিশেল বলেছেন শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল নাহিয়ান দেশটির সহিষ্ণুতাবিষয়ক মন্ত্রীর (মিনিস্টার ফর টলারেন্স) পদে যতদিন থাকছেন, ততদিন তারা আবুধাবিতে এই উৎসবের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকবেন।

তাদের কর্মী কেইটলিন ম্যাকনামারা দাবি করেছেন শেখ নাহিয়ান এ বছরের গোড়ার দিকে তার ওপর যৌন হামলা চালান এবং তিনি এর জন্য আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৬৯ বছর বয়সী শেখ নাহিয়ান।

লন্ডনের দ্যা সানডে টাইমস পত্রিকাকে ৩২ বছর বয়সী মিস ম্যাকনামারা জানিয়েছেন, তিনি যে হামলার অভিযোগ করছেন সেটি ঘটেছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি ব্যক্তিগত মালিকানার দ্বীপে এক আবাসিক অট্টালিকায়। আবুধাবিতে এ বছর প্রথমবারের মতো যে হে সাহিত্য ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হয়েছিল, ওই ঘটনার ১১ দিন পর তার উদ্বোধন হবার কথা ছিল। মিস ম্যাকনামারা ভেবেছিলেন ওই উৎসব নিয়ে কথা বলার জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

মিস ম্যাকনামারা জানান, তার ওপর নির্যাতনের ওই ঘটনার পরপরই তিনি বিষয়টি তার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান এবং দেশটিতে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ব্রিটেনে করোনাভাইরাস লকডাউন প্রত্যাহারের পর তিনি কেন্ট এলাকার পুলিশ স্টেশনে গিয়েও ঘটনাটি জানান।

সানডে টাইমস পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের সরকারি কৌঁসুলি বিভাগ (ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস) এই মামলা নেবে কি না, তা জানার জন্য মিস ম্যাকনামারা অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন জানান, তার ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রাখার অধিকার বিসর্জন দিয়ে এই ঘটনার কথা সবার সামনে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ তার ভাষ্য অনুযায়ী, আমি মনে করেছি আমার হারাবার কিছু নেই।

তিনি বলেন, আমি এটা করতে চেয়েছি, কারণ তার মতো ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা কী করতে পারেন সেটা আমি জানাতে চাই। তারা মনে করেন তারা এ ধরনের কাজ করতে পারেন এবং পার পেয়ে যেতে পারেন। তার বাসভবন যেভাবে সাজানো তা থেকে এটা স্পষ্ট যে আমি প্রথম নারী নই, এবং আমি শেষ নারীও নই। ওই ঘটনা আমার ওপর বিশালভাবে মানসিক ও শারীরিক প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু তার জন্য হয়ত এটা নিছক একটা খামখেয়ালির মতো।

সানডে টাইমস বলছে, এই অভিযোগ সম্পর্কে শেখ নাহিয়ানের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। তবে লন্ডনে মানহানি মামলার আইনি প্রতিষ্ঠান শিলিং’র আইনজীবীদের একটি বিবৃতি পত্রিকাটিকে দেয়া হয়েছে যাতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের মক্কেল এই অভিযোগে বিস্মিত এবং মর্মাহত। এই ঘটনা যখন ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তার আট মাস পর এটা জানানো হচ্ছে এবং জানানো হচ্ছে একটি জাতীয় সংবাদপত্রের মাধ্যমে। এই ঘটনার বিবরণ অস্বীকার করা হচ্ছে।’

শিলিংস্ বিবিসিকেও এর বাইরে আর কিছু বলতে অস্বীকার করেছে। হে ফেস্টিভ্যালের সভাপতি ক্যারোলাইন মিশেল টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের সহকর্মী ও বন্ধু কেইটলিন ম্যাকনামারার সাথে গত ফেব্রুয়ারিতে আবুধাবিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা তার ও তার পদমর্যাদার প্রতি আস্থার ন্যক্কারজনক লঙ্ঘন এবং একটা ঘৃণ্য নির্যাতনের ঘটনা। শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল নাহিয়ান মন্ত্রী হিসাবে তার দায়িত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন এবং দেশটিতে বাক স্বাধীনতা ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠাকে আরও উজ্জীবিত করতে হে ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল সেই প্রচেষ্টাকে খর্ব করেছেন বলে জানান তিনি।

ক্যারোলাইন মিশেল বলেন, এই যৌন নির্যাতনের আইনি বিচার চাওয়ার ব্যাপারে কেইটলিনের পদক্ষেপকে আমরা সমর্থন করছি এবং ইউএই-তে আমাদের যারা বন্ধু ও পার্টনার আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যেন শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল নাহিয়ানের আচরণ বিশ্লেষণ করে দেখেন এবং এ ধরনের আচরণ যে অগ্রহণযোগ্য বিশ্বের মানুষকে যেন স্পষ্টভাবে সেই বার্তাটা দেন। তিনি যতদিন মন্ত্রী পদে থাকবেন ততদিন হে ফেস্টিভ্যাল আবুধাবিতে যাবে না।

সূত্র: বিবিসি।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।