বেলাল হোসাইন,(খাগড়াছড়ি):
রামগড় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার উল্লাহ মজুমদারের উপর হামলা এবং লাঞ্চিত করার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিস্কার এবং শরিফুল ইসলাম মজুমদারকে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগ বরাবর বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রামগড় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং শরিফুল ইসলাম মজুমদার উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদে ছিলেন। রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার হাবিব শোভন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ ছোটন স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক দুইটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রামগড় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বাহার উল্লাহ মজুমদারকে প্রকাশ্যে হুমকি এবং হামলার অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদকের পরামর্শক্রমে সংগঠনটির নীতি-আদর্শ এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে (বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রামগড় পৌর শাখা) থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য শরিফুল ইসলাম মজুমদারকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ১৮ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাহার উল্লাহ মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ই অক্টোবর সোনাইপুল আল ফালাহ জামে মসজিদের সাধারণ সভায় দীর্ঘদিন ধরে কমিটি আটকিয়ে রেখে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে অভিযোগ করেন মসজিদ কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে।
যার প্রেক্ষিতে অর্থআত্মসাতকারী মসজিদ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নির্দেশে এলাকার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী মসজিদের ভেতর তার উপর চওড়াও হয়ে তাকে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে তিনি ভীতিগ্রস্ত হয়ে রামগড় থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং- ৪৯৫। জিডিতে তিনি ১/ সাইফুল ইসলাম মজুমদার(২৫) পিতা নুর নবী, ২/ শরিফুল ইসলাম মজুমদার(২৮) পিতা বাচ্ছু মিয়া, ৩/ জিয়া উদ্দিন, পিতা নিজাম উদ্দিন, ৪/ খোকন(২৪) পিতা মৃত আবু আহমেদ, ৫/ রাজু(২৪) পিতা লোকমান হোসেন, ৬/আরিফ হোসেন(২৪) পিতা এছাহাক মিয়া এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করেন বলে উল্লেখ করেন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগের একটি সাংগঠনিক তদন্ত টিম গঠন করার হয়, উক্ত সাংগঠনিক তদন্ত টিমের প্রধান রামগড় পৌর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম হাসান নয়নের নেতৃত্ব সাংগঠনিক টিমটি ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় মুসল্লীদের কাছ থেকে উক্ত ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে ঘটনাটির সম্পূর্ন সত্যতা পাওয়া যায়। জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের বরাবর শরিফুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সুপারিশ এবং রামগড় পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে বহিষ্কার করে রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগ।
বহিষ্কারের বিষয়ে রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউসার হাবিব শোভন বলে, রামগড় উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে লাঞ্চিত করা ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান করার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে, তাই দলীয় শৃঙ্গলা ভঙ্গের দায়ে শরিফুল ইসলামকে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠানো হয় এবং রামগড় পৌর ছাত্রলীেগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মজুমদারকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করে রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সচিব আনোয়ার জাহিদ ছোটন বলেন, বিশৃঙ্খলাকারী যেই হোক বাংলাদেশ ছাত্রলীগে বিশৃঙ্খলাকারী দের কোন স্থান নেই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতীর সূর্য্য সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির একটি দল, তাই এই দলে যেমন সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নেই ঠিক তেমনি উশৃঙ্খল ও বিশৃঙ্খলাকারী দের ও ঠাঁই নেই।
CBALO/আপন ইসলাম