শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নিখোঁজের ২৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি মাদ্রাসা ছাত্রর

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০

রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
নিখোঁজের ২৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র ইসমাঈল হাওলাদার মিদুলের (১৫)। নিখোঁজ মিদুল জেলার গৌরনদী উপজেলার দিয়াশুর গ্রামের মনিরুজ্জামান হাওলাদারের পুত্র। সে গৌরনদীর সীমান্তবর্তী কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ শাখায় অধ্যয়নরত ছিলো।

নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা মনিরুজ্জামান হাওলাদার জানান, রমজানপুর গ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় তার দুই পুত্র ইসমাঈল হাওলাদার মৃদুল (১৫) ও গোলাম মহিয়ান (৯) হেফজ শাখায় অধ্যায়নরত। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে মৃদুলের মা মাদ্রাসায় পৌঁছে ছেলেদের সাথে কথা বলে টাকা-পয়সা দিয়ে আসেন। ওইদিন রাতেই রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয় মৃদুল। পরদিন সকালে মাদ্রাসার এক শিক্ষক মৃদুলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তাকে জানায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর মৃদুলকে না পেয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর কালকিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন তিনি (মনিরুজ্জামান)।

তিনি আরও জানান, মৃদুল নিখোঁজ হওয়ার পরদিনই ওই মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষক মাওলানা ফোরকান মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। ওই শিক্ষকের নম্বরে দুইদিন যোগাযোগ করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি ওই মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক মাওলানা জাকির হোসেনের কাছে পুত্র হারানোর বিষয়ে চারদিন ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। পুত্রকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকরা কোন সহযোগিতা না করায় মাদ্রাসা ছাত্র ইসমাঈল হাওলাদার মৃদুলকে শিক্ষকরাই গায়েব করেছেন বলেও তিনি (মনিরুজ্জামান) উল্লেখ করেন। পুত্রকে ফিরে পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

ওই মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষক মাওলানা ফোরকান জানান, ঘটনার দিন নিখোঁজ ওই ছাত্রের মা মাদ্রাসায় আসেন এবং মৃদুলকে হেফজ শাখায় পড়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করেন। এনিয়ে মৃদুলের সাথে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বোডিং খরচের টাকা দিয়ে চলে যান মৃদুলের মা। ছাত্র নিখোঁজের বিষয়ে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা জাকির হোসেন জানান, নিখোঁজ ছাত্রটি হাফেজি পড়তে চাইছিলো না। কিন্তু ঘটনার দিন ওই ছাত্রের মা মাদ্রাসায় এসে ছেলেকে হাফেজি পড়ার জন্য প্রয়োগ করেন। যার ফলে ছেলেটি পালিয়ে যেতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন। তবে ছাত্র নিখোঁজের বিষয়ে তাদের কোন সংশ্লিষ্ট নেই বলেও উল্লেখ করেন। এবিষয়ে ডায়রী তদন্তকারী কর্মকর্তা কালকিনি থানার এসআই দিবাকর সরকার জানান, ছেলেটিকে খুজে পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।