মঙ্গলবার , ২৫শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নাগরপুরে ১০ মাসেও শুরু হয়নি ব্রিজের নির্মাণ কাজ জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সেতু নির্মানের কার্জাদেশ পাওয়ার পর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও শুরু হয়নী সেতুর নির্মাণ কাজ। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে সিমাহীন দুর্ভোগ ও অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে হাজার হাজার পথচারীদের। জানা যায়, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চৌরাস্তায় নাগরপুর-সলিমাবাদ সড়কের ব্রিজের নির্মাণ কাজ উদ্ধোধনের ১০ মাসেও শুরু না হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার জনসাধারন। কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরের নভেম্বরে কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও এখনও শুরুই করেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ সড়কটি উপজেলা সদরের অপেক্ষাকৃত অধীক গুরুত্তপূর্ণ হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে সলিমাবাদ ও বেকড়া ইউনিয়ন সহ চৌহালী উপজেলার হাজার হাজার পথচারী ও ছোট বড় যানবহন চলাচল করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডাইভারশন(বিকল্প) সড়ক না করেই পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে নিয়ে যান। এতে জনদূর্ভোগ বহুগুন বেড়ে গেছে।
এদিকে  টেকসই ডাইভারসন রোড না করার কারনে সাময়ীক চলাচলের জন্য বাঁশের(পাটাতন) সাকো তৈরী করা হয়। বাঁশের এ সাকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের হাজারও পথচারী যাতায়াত করে। রাত- বিরাতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল কারী পথচারী ও ছোট বড় যানবহন অহরহ দূর্ঘটনার শিকার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দেয়ার যেন ফুসরত পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর মের্সাস আলিফ এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পান। ৫৪ মিটার চেইন এজ ১৫ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রীজটি নির্মাণের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়  ১ কোটি ৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের ১৫ নভেম্বরে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে।
স্থানীয় চা দোকানী মনিরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজটি পেয়ে বিকল্প সড়ক না করে পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে বিক্রি করে। ব্রিজ নির্মান না হওয়ায় আমরা চড়ম ভোগান্তির মধ্যে আছি। মোশারফ হোসেন মুসা আক্ষেপ করে বলেন, ঠিকাদার ব্রিজ ভেঙ্গে চলে যাওয়ার পর যাতায়াতের সাময়িক দূর্ভোগ লাঘবের জন্য আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাশেওে শাকো তৈরী করেছি। শাকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যে কোন সময় প্রাণহানি স হবড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকার কথা জানালেন ইজি বাইক (অটো) চালক ছানোয়ার হোসেন ছানু।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলিফ এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান মিন্টুর সাথে সেল ফোনে যোগাযো করলে তিনি জানান, করোনার কারনে পাথর সংগ্রহ করতে না পাড়ায় কাজ করা সম্ভব হয়নি।  এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)মাহাবুবুর রহমান জানান, কাজটি শেষ করার জন্য ঠিকাদার কে আমরা চাপ দিচ্ছি।বর্তমানে বন্যার কারনে পাইলিং করা সম্ভব হচ্ছেনা। এ ছাড়া ওই সময় পাথর না পওয়ায় কাজটি শুরু করা যায়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শুরু করা হবে বলে জানান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান।
CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।