গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ১নং নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবুর বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত শনিবার ইভটিজিংয়ের ঘটনায় নাজিরপুরের রানীগ্রামের আনছার আলীর ছেলে শাহিনকে (২০) ওই ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আটক রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ইভটিজিংয়ের সত্যতা পাওয়ায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রাসেল ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দেন।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করে আনছার আলী বলেন, চেয়ারম্যান লাবু আমার ছেলেকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি পরিষদে না পৌঁছতেই আমার ছেলেকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় এবং তার জেল হয়। অথচ চেয়ারম্যান আমার ছেলেকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার কথা বলে আমার কাছ ৫০ হাজার টাকা নেন। এমনকি ছেলের ব্যবহৃত এপাচি মোটর সাইকেলটিও ফেরত দিচ্ছেনা চেয়ারম্যান। তাই সুষ্ঠু বিচার পেতে বাধ্য হয়ে থানায় চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছি।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু। এসময় তার বিরুদ্ধে আনা চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আনছারের ছেলেকে মুক্ত করার অন্যায় দাবি না মানায় আমার প্রতিদ্ব›িদ্ব সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর পরামর্শে সে গুরুদাসপুর থানায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এতে আমার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসময় ইউপি সদস্য হিটলার আলী, মোকাব্বের আলী, আহসান ও মসলেম উদ্দিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তবে নাজিরপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী বলেন, থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, এসআই শহীদুল ইসলাম ঘটনাটির তদন্ত করছেন। তদন্তকারী এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
CBALO/আপন ইসলাম