রবিবার , ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ছড়িয়ে ছিটানো সরকারী ঔষধ

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০

রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
রোগীদের ঠিকমত ঔষধ বিতরণ না করে জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে সরকারী ঔষধ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) স্নিগ্ধা রায়ের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে রবিবার ঔষধগুলো দেখা গেলেও পরবর্তীতে তা অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সরকারী ঔষধগুলো এভাবে যত্রতত্র ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

টাকা ছাড়া মেলেনা ঔষধ : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা জানিয়েছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে স্যাকমো স্বিগ্ধা রায় ঔষধ বাবদ টাকা আদায় করেন। টাকা না দিলে ঔষধ নেই বলে জানিয়ে দেয়া হয় রোগীদের। অপর এক স্বাস্থ্য কর্মী জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বরত স্যাকমো স্নিগ্ধা রায় নিয়মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না। কোনদিন সকাল দশটার মধ্যে অফিসে আসলেও আবার সাড়ে বারটার মধ্যে চলে যান। এমনকি রোগীদের ঔষধপত্রও ঠিকমত প্রদান করেন না। তারা আরও জানিয়েছেন, ঔষধগুলো আগে থেকে ফিল্ড কর্মীদের দেয়া হলে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করতে পারতেন।

এবিষয়ে সাব এ্যাসিট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার স্নিন্ধা রায় জানান, ঔষুধগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ফেব্রুয়ারী মাসে। তিনি আরও জানান, এক খালারে কাগজ পোড়াইতে দিছিলাম। খালায় কাগজ পোড়াইছে আর ঔষধগুলো ওখানে ফেলে রাখছে। সেটা আমার চোখে পরলে হয়তো সরাতাম। সরকারী ঔষধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে করনীয় কি? জানতে চাইলে সেটা তার জানা নেই বলে উল্লেখ করেন।

এবিষয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সাইয়্যেদ মো. আমরুল্লা জানান, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে এভাবে সরকারী ঔষধ ছড়িয়ে রাখার সুযোগ নেই। যদি ঔষদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তবে সে আমাকে জানাবে। তারপর সিভিল সার্জনকে জানিয়ে এগুলো ধ্বংস করতে হবে। কিন্তু সে আমাকে কিছুই জানায়নি। তিনি আরও বলেন, স্যাকমো স্নিগ্ধা রায় নিয়মিত অফিস করেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আট মাস অনুপস্থিত ডাক্তার : আট মাসে আট দিনও অফিস না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাটাজোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. শুভ্রা দাসের বিরুদ্ধে। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ ইউনিয়নের সাধারণ রোগীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে যোগদান করেন ৩৯তম বিসিএসের চিকিৎসক শুভ্রা দাস। এরপর কয়েকদিন চিকিৎসা সেবা প্রদান করলেও গত মার্চ মাস থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি।

এবিষয়ে ডাক্তার শুভ্রা দাস জানান, তার বাড়ী চট্টগ্রামের রাউজানে। তিনি একজন আনমেরিড। একা এখানে তার থাকা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরও জানান, গত জানুয়ারী মাসে তার জন্ডিস ধরা পরার পর তিনি কয়েক মাস অসুস্থ ছিলেন। তিনি অন্যত্র বদলির জন্য আবেদন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন। এবিষয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সাইয়্যেদ মো. আমরুল্লা জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।