শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বাজেট ব্যয়ে মিতব্যয়ী হোন :প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাভার সেনানিবাস প্রান্তে যুক্ত সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিট ও সংস্থাকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাজেট ব্যয়ে কর্মকর্তাদের মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব আবারও বাড়তে পারে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবার বাড়লে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। তাই অর্থ সাশ্রয়ে, বাজেটের অর্থ ব্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ মিতব্যয়ী হতে হবে। ঠিক যেটুকু এখন আমাদের নেহাত প্রয়োজন, তার বেশি কোনো টাকা খরচ করা চলবে না। রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সাভার সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিট ও সংস্থাকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় দফার করোনা মহামারি দেখা দিতে পারে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখনো করোনাভাইরাসের প্রভাব আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরেকবার হয়তো এ করোনাভাইরাসের প্রভাব বা প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। কারণ ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আবার নতুন করে দেখা দিচ্ছে। আমাদের এখন থেকেই সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে।

 

সে সঙ্গে আমাদের খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী একটা খাদ্য মন্দা দেখা দিচ্ছে। অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশে আমরা সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছিলাম বলেই সেই সমস্যাটা আমাদের দেখা দিচ্ছে না। দেশে যাতে খাদ্য সংকট দেখা না দেয়, সেজন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা বলেন, করোনার এ সংকটময় সময়েও মানুষের কল্যাণে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এবার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। যেটা দেওয়া খুবই কঠিন ছিল। তবু আমরা দিয়েছি। অর্থ খরচের ব্যাপারে সবাইকে একটু সচেতন থাকতে হবে। কারণ করোনাভাইরাস যদি আবার ব্যাপক হারে দেখা দেয় তাহলে আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। করোনা বাড়লে মানুষকে আবার আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, ওষুধ কিনতে হবে, হয়তো আরও ডাক্তার-নার্স লাগবে। করোনা মোকাবিলায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসেও আমাদের সেনাবাহিনী দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। করোনার সময়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, তাদের রিলিফ বিতরণ করা, নানা ধরনের সহযোগিতা করা, করোনা সম্পর্কে তাদের সচেতনতা সব ব্যাপারেই বিশেষ ভূমিকা আপনারা পালন করে যাচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। প্রত্যেকে বিশেষভাবে অবদান রেখে যাচ্ছে। একুশ শতকের ভূ-রাজনৈতিক এবং সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারদর্শী সশস্ত্র বাহিনী গঠনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে গত সাড়ে ১১ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন করায় সারা বিশ্বে আমাদের সামরিক বাহিনীর একটি উন্নত ও আধুনিক বাহিনীর মর্যাদা অর্জন সম্ভব হয়েছে। সেনাবাহিনী দেশের সম্পদ এবং মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক।

 

আর কোনো সেনাবাহিনী যদি মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করতে না পারে তাহলে কখনো তারা কোনো বিজয় অর্জন করতে পারে না। তাই আপনাদের সবাইকে পেশাগতভাবে দক্ষ, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে। দেশপ্রেম ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় সব সময় নিবেদিতপ্রাণ। সে জন্য জাতিসংঘ যখনই আমাদের সশ্রস্ত্র বাহিনীর সদস্য চেয়েছে, পুলিশ বাহিনী চেয়েছে, আমরা সেটা দিয়ে যাচ্ছি। সংবিধানকে সমুন্নত রেখে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এ লক্ষ্যে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছি। এদেশে কেউ গরিব-গৃহহীন থাকবে না। সবার উন্নতজীবন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

 

করোনা মহামারির শুরু থেকে মানুষের জীবন এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে নগদ অর্থ সহায়তাসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারির শুরু থেকে মানুষের জীবন এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে দুই হাজার ডাক্তার নিয়োগ, ৬ হাজার নার্স নিয়োগ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিসহ অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে ২১টি প্যাকেজে প্রণোদনা, ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা দান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তাসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। এসময় ৯ পদাতিক ডিভিশনের ৮ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ও এডহক ১১ বীর মেকানাইজড ব্যাটালিয়ন, ১০ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ও ১৩ বীর, ১১ পদাতিক ডিভিশনের ৫৯ ইস্ট বেংগল সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ও ১২ বীর, ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ১৫ বীর সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন, ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ৩ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকসের (এসআইএন্ডটি) জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এসব ইউনিট প্রধানের হাতে পতাকা তুলে দেন।

 

CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।