শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বেনাপোলে ৩ দিনে দেশে ফিরলেন  ৮৫৯ বাংলাদেশি

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১৮ মে, ২০২০
মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশি যাত্রী আসা বেড়েছে। গত তিন দিনে ৮৫৯ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। তাদের সবাইকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে ফেরা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন ১৩ মে থেকে বাতিল করা হয়েছে। যে কারণে এখন যারা দেশে ফিরছেন, তাদের শরীরে

করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলে বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ যানবহনের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ভারতে লকডাউনের কারণে আটকে পড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মধ্যে যারা বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরছিলেন, তাদের বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টার ও ঝিকরগাছা উপজেলার গাজির দরগাহে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছিল। কিন্তু সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

গত ৬ এপ্রিলের আগে ভারত থেকে যারা দেশে ফেরেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তারা নিয়ম না মানায় হোম কোয়ারেন্টিন নিয়ম বাতিল করে সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার নিয়ম চালু করা হয় গত ৬ এপ্রিল থেকে। এর পর থেকে ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন রাখা হয়। পরে ঝুঁকিমুক্ত হলে তারা বাড়িতে ফিরছিলেন। গত ১৩ মে নতুন নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলে তারা নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এই নির্দেশনার পর যাত্রীদের প্রায় সবাইকে বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।

ভারত ফেরত যাত্রীরা বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে গেলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘ভারত থেকে যাত্রীরা বেনাপোল চেকপোস্টে আসার পর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারও শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকলে তাকে উপসর্গমুক্ত সনদ দেওয়া হচ্ছে। আর উপসর্গ থাকলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে এমন চারজনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন, করোনাভাইরাস উপসর্গমুক্ত ব্যক্তিকে বিশেষ যানবাহনে করে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর কথা সরকারি নির্দেশনায় বলা আছে। সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের।

ভারত ফেরত যাত্রীদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে, জানতে চাইলে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, ‘ডেডিকেটেড ট্রান্সপোর্ট বলতে আসলে বোঝানো হচ্ছে, যে যানবহনে করে ভারতফেরত যাত্রীরা বাড়িতে ফিরবেন ওই যানবাহনে অন্য কোনো যাত্রী উঠতে পারবেন না। সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যানবাহন চলাচলে নিধেষাজ্ঞা আছে। প্রত্যেক উপজেলা সীমানায় প্রশাসনের চেকপোস্ট আছে। সেখানে তল্লাশি করা হয়।’

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।