রবিবার , ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ঝালকাঠিতে হুজুরের বাড়ী নিয়ে প্রতারনামূলক বিয়ে ও গর্ভপাতের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠিতে হুজুরের বাড়ী নিয়ে বিয়ে করে খাদিজা বেগমের সাথে ৩ বছর বসবাস করে দুই বার গর্ভপাতসহ ইন্টারভ্যাল প্লান্ট করিয়ে বসবাসের পর অলি ডাকুয়া (৪৩) নামে এক ল্ম্পট এখন বিয়ে অস্বীকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক সপ্তাহ পূর্বে বিদেশ থেকে তার ১ম  স্ত্রী ঝুমুর বেগম দেশে আসলে তার সাথে বসবাস, ২য় স্ত্রী  খাদিজাকে অস্বীকারসহ নানা রকম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর তিনি খাদিজা কে ঝালকাঠি সদর থানায় পাঠালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে পাঠায় বলে জানা যায়।
    খাদিজা বেগম অভিযোগে জানায়, ২০১২ সালে তার গ্রামের শফিকুল মাঝির সাথে বিয়ের পর ৭মাসের অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় তাকে ফেলে স্বামী খুলনা গিয়ে আরেকটি বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করেন। পরবর্তীতে একটি পুত্র সন্তান হলেও স্বামী কোন খোজ খবর না নেয়ায় সে সন্তানসহ বাবা-মায়ের সাথে ধানসিড়ি ইউনিয়নের চরকাঠি আবাসনে আশ্রয় নেয়। সেখানে একই আবাসনের বাসিন্ধা পূর্বে একাধিক বিয়ে করা অলি ডাকুয়া তাদের ঘরে যাওয়া আসা শুরু করে। ইতিমধ্যে তার অবাধ্য হয়ে ১ম স্ত্রী ঝুমুর বেগম (৩৫) বিদেশে যাওয়ায় তাকে তালক দিয়েছে বলে জানিয়ে খাদিজা কে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। দীর্ঘদিন অলি ডাকুয়া তাকে ফুসলানোর পর একটু নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় তার প্রস্তাবে রাজী হলে ৩বছর পূর্বে খাদিজা কে নিয়ে হুজুরের বাড়ী দরবারে গিয়ে ধর্মীয় মতে বিয়ের নাটক করে।
     সে আভিযোগে আরো জানায়, পরবর্তীতে অলি ডাকুয়ার কাছে ১ম স্ত্রী ঝুমুর বেগমের তালাকনামা দেখতে ও নিজেদের হুজুরের বাড়ির গিয়ে বিয়ের কাবিন রেজিষ্ট্রি করতে অনুরোধ করলেও সে নানারকম তালবাহানা করতে থাকে। ইতিমধ্যে সে দুই বার অন্তঃস্বত্তা হলে অলি ডাকুয়া তাকে বরগুনা ও ঝালকাঠিতে নিয়ে গর্ভপাত করিয়ে খাদিজার হাতে ইন্টারভ্যাল প্লান্ট করিয়ে আনে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে প্রথম স্ত্রী ঝুমুর বেগম দেশে ফিরলে ল্ম্পট অলি তাকে নিয়ে সংসার শুরু করে ও খাদিজাকে চেনে না দাবী করে নানারকম গালাগাল শুরু করে। তাদের এ সম্পর্কের বিষয় আবাসনের বাসিন্ধারা, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সকলেই অবগত হলেও অলি এখন এভাবে প্রতারনা করলে তার আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ খোলা থাকবে না বলে অসহায় খাদিজা জানায়।
    এ বিষয়ে অলি ডাকুয়ার বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল (০১৬৪৬৫৭৩০৬০) নাম্বারে একাধিক বার কল দেয়া হলেও তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।
   এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ফারুখ হোসেন জানায়, ধানসিড়ি ইউনিয়নের খাদিজা বেগমের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপপরিদর্শক ইসরাত জাহানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।