রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র জীর্ণ দশায় ভুগছে। দীর্ঘ দিনেও সংস্কার না হওয়ায় মূল ভবনের ছাদ ও বারান্দা ধসে পরেছে, ভেঙ্গে গেছে দরজা ও জানালার গ্লাস। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি পরিণত হয়েছে ভূতুরে ভবনে।
জানা গেছে, তৃণমূল পর্যায়ে সরকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পার্শ্বে গৌরনদী উপজেলার বার্থী বাজার এলাকায় ১৯৮৯ সালে বার্থী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রমের শুরু থেকে বার্থী, খাঞ্জাপুর এবং রাজিহার ইউনিয়নের একাশেংর জনসাধারনদের প্রতিদিন স্বাস্থ্য শিক্ষা, প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা, গর্ভবতী মা ও শিশু চিকিৎসা, প্রসব পরবর্তি চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি দীর্ঘ দিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় মূল ভবনের ছাদ ও বারান্দা প্লাস্টার ধ্বসে পরেছে। ভেঙ্গে গেছে দরজা ও জানালার গ্লাস। ফলে ভূতরে ভবনে পরিণত হয়েছে এখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা শিরিনা মমতাজ বলেন, জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির আবাসিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ও উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তোফাজ্জেল হোসেন বসবাস করে আসছিলেন। গত বছর অক্টোবর মাসে আবাসিক ভবনের একাংশের ছাদ ধ্বসে পড়ায় তিনি এখন অন্যত্র বসবাস করছেন।
পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক সুমন চন্দ্র দাস জানান, দীর্ঘ দিন যাবত মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিষ্টসহ ৩জন পরিবার কল্যাণ সহকারী না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
আগত রোগী জেসমিন বেগম বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আবাসিকে ডাক্তার ও এফডব্লিউভি বসবাস না করায় রাতের বেলা প্রসুতিসহ জরুরি রোগীরা সেবা পাচ্ছিনা। ফলে রাতে জরুরি প্রসুতিসহ জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন রোগী। এ কেন্দ্রে একজন এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ দিলেও গ্রামাঞ্চল হওয়ায় যোগদানের পর নানা কৌশলে বদলি কিংবা প্রেষণে অন্যত্র চলে যায় তিনি। ফলে ডাক্তার এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
বার্থী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রর উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, জরাজীর্ণ ভবন ও জনবল সংকটের বিষয়ে একাধিকবার লিখিত ভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহ মো. আব্দুল হান্নান জরাজীর্ণ ভবন ও জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ভবন পুনঃনিমার্ণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে বরাদ্দ সাপেক্ষে ভবনের পুনঃনির্মাণ করা হবে।
#CBALO/আপন ইসলাম